আমাদের বন্ধু স্বপন চক্রবর্ত্তী
পলাশকে বলেছিলেন--------
পলাশ প্রিয়া।
ফাগুন--চৈত্রে বসন্ত যৌবন।
কাকের মত পাখিও পলাশের মধু
খুঁটে খুঁটে খায়। ডানা মেলে তার সঙ্গীকে ডাকে। ভালোবেসে উড়তে উড়তে আকাশের কাছে
মধু বার্তা জানায়।
রাঢ়বঙ্গে বিশেষ করে পুরুলিয়ার মাটি পলাশে পলাশে রঙিণ হয়ে থাকে ফাগুন --চৈত্রে।
মন বিরহী হয়ে ওঠে।
উদাসী হয়ে ওঠে মন।
কে যেন আড়াল থেকে, পাতার
আড়াল থেকে মধু ঝরায়।
জলে-স্থলে।
মৌমাছি ওড়ে। প্রজাপতির রঙিন উত্তরীয় দিগন্ত থেকে দিগন্তে। তাকে ছুঁতেই অনিকেতের বন্ধুরা
এ বছরও জড়ো হয়েছিল ফুটিয়ারি জলাধারে।
রাঙা হাসি রাশি রাশি ।
আবির উড়িয়ে নৃত্য--গীত আনন্দে জলাধারের জল উছলে
উঠেছিল।
তিলাবনি ও সিঁদুরপুরের পাহাড় থেকেও ভেসে আসছিল বসন্তের গান।
পাথর থেকে পাথর বলছিল----
বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
ধুলোবালি বলছিল-------
আজ সবার রঙে রঙ মেশাতে হবে------।
হ্যাঁ কালো গায়ে রঙ ধূলা মাখিয়ে
নেচেছে গৌউর--নিতাই ।
------১৭ চৈত্র ১৪২৮
-----১----৪----২০২২
-----নির্মল হালদার



















































































কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন