আমার কবিতা : কাঠবিড়ালির লাফ---১৫
--------------------------------------------------------
পাখির ঠোঁটে উড়ে যাওয়া একটি খড়। কবিতা নিশ্চয়ই। পাখির পায়ে লেগে থাকা শিশির বিন্দু। কবিতা নিশ্চয়ই।
মানুষের হাসি কান্না দুঃখ, কবিতা ছাড়া আর কিছু নয়। মানুষ জানেনা বলে মানুষের কাছে এসে দাঁড়ায় একটি ভোর।
ভোরের স্নিগ্ধতায় মানুষ অনেক কিছু দেখতে পারে।যদি দেখার মত দৃষ্টি থাকে। যদি হৃদয় থাকে।
ভোর নিজেও একটি কবিতা।
সেই কবিতাই তো সারাদিন সুরের লতা ছড়িয়ে দিতে দিতে মানুষকে নিঃশ্বাস দেয়। ভরসা দেয়।
আনন্দ অবশ্যই দেয়।
ভোরে উঠেই কুকুর মা তার ছানাদের দুধ দিয়ে থাকে।ছাগ-শিশুও তার মায়ের স্তন্যপান করে। ভোরবেলা।
ভোরের কাব্য রস ফসলের ক্ষেতে। পত্র পল্লবে। গাছের গোড়ায়। ভোরের কাব্যরস থেকেই, সূর্য সারাদিন সৃষ্টি করে একটা কবিতার পর আরেকটি কবিতা।
দিনমজুরদের কথা জানি, বিশেষ করে যারা গ্রামে থাকে, তারা বারো মাস চারটের সময় উঠে পড়ে।আমাদের এক কবি বন্ধু চারটের সময় ওঠে। এবং সারস্বত চর্চায় মন রাখে।
কবিতাকে খুঁজতে হয় না, কবিতা আছেই সর্বত্র।
কাক যখন ডাকছে, সেও তো কবিতা। কবিতার জন্য রাজ দরবারে যেতে হয় না। সভাকবি না হলেও দেখতে পাবে পালং পাতায় রোদ পড়েছে।
হেমন্তের শীতেও কাঁপছে অশ্বত্থ গাছের পাতা। এখানে অন্ত্যমিল পয়ার এবং আঙ্গিক খুঁজতে গেলে হতাশা আর হতাশা। ঠকে যেতেও হয়। নিসর্গ প্রকৃতির কাছে বাঁধা ধরা কোনো অঙ্ক নেই। ছন্দ আছে। নিজের মতো করে একটা ছন্দ প্রকৃতি বহন করে। সেই ছন্দের শুরু ভোর থেকেই। ভোর, একটি গ্রন্থ। মহাগ্রন্থ।
"ভোরের কাব্য " সকলের কাছেই প্রতিদিন।
সেই কবে নজরুল বলে গেছেন---
ভোর হলো দোর খোলো----
----বিকেল--৪--৫২
----২৭ কার্তিক ১৪২৯
----১৪---১১---২০২২
----নির্মল হালদার
আরও পড়ুন

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন