বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৩

আমার কবিতা : কাঠবিড়ালির লাফ - ২



আমার কবিতা : কাঠবিড়ালির লাফ - ২


কবিতা অথবা শিল্প কোনো ধর্মীয় বাদ গ্রহণ করবে না। রাজনৈতিক বাদ থেকেও দূরে থাকবে।

মানুষ থেকে দূরে থাকবে না কখনোই। জীবজগৎ থেকেও দূরে থাকবেনা।

পুকুর ঘাটের পাথরটি শুধু রোদ জলে ক্ষয়ে যায়নি। পুকুরে স্নান করতে আসা মানুষজন পাথরে পা ঘষতে ঘষতে পাথরের ক্ষয় নিয়ে এসেছে আরো।

এই ক্ষয় শিল্পের দিকে যায়।

টিয়া পাখি উড়লেই তার ঠোঁটের রক্তিম আভা ঝরে পড়ে। যদি মুঠোয় ধরতে পারি, তোমাকে দেবো । তোমার ঠোঁট যে কালি হয়ে গেছে।

তোমাকে ধরে দিতে না পারলেও
ভ্রমর ভ্রমরার গুন গুনানি তোমাকে শোনাবো সকালবেলায়।

একটু পদ্ম বনের দিকে যেতে হবে। পদ্মের মধু নিয়ে ভ্রমর ভ্রমরা
পদ্ম পাতায় চুপ করে গোপন কথা বলে দুজন দুজনকে।

এখান থেকেও একটি কবিতার জন্ম। অথবা শিল্পের জন্ম। যে শিল্প বন্ধ কারখানা খুলতে না পারলেও মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

শিল্প তখন শিরদাঁড়া।

কাজ চলে যাওয়া শ্রমিকদের সাহস জোগাবে। যদি শ্রমিকদের পাশে না দাঁড়াতে পারে, শিল্প শিল্পের জায়গাতেই থাকবে। অবিরাম।

মাথায় কাঠের বোঝা পাহাড় থেকে নেমে আসছে নারী ও পুরুষের দল।
এই ছবিটি একজন আঁকছেন
রঙে ও রেখায়। আরেকজন চেষ্টা করছেন কবিতায় ধরতে। অথচ ধরতে পারছেন না। এই ব্যর্থতা
কাগজে কলমে রূপ না পেলেও
অন্তরে বেদনা বোধ। যা কবিতা।

যা শিল্প।

কাঠবিড়ালি লাফাতে লাফাতে পেয়ারা গাছের ডালে। ছাদেও এলো পায়রার সঙ্গে মুড়ি খেতে।

যৌথতার একটি ছবি একটি কবিতা।

আঙ্গিক নেই। ছন্দ নেই। কোনো
চমক নেই কেবল জীবন প্রবাহ।

চিরকালীন শিল্পের দিকে।

----১২ কার্তিক ১৪২৯
----৩০---১০--২০২২
----রাত্রি-৮--৪৭
-----নির্মল হালদার




আরও পড়ুন



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কবি নির্মল হালদারের বিভিন্ন সময়ের ছবি

পড়ুন "ঘর গেরস্থের শিল্প"

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ