আমার কবিতা---কাঠবিড়ালির লাফ-- ৮১
---------------------------------------------------------
কোনো বিশেষ শব্দ কোনো বিশেষ শব্দবন্ধ আমার পূর্ব পরিচিত হলেও হঠাৎ করে কোনো কোনোদিন অচেনা লাগে। নতুন লাগে। আমি শব্দটির প্রেমে পড়ি। শব্দবন্ধটিও আমাকে লোভী করে। মনে হয়, এই শব্দের কাছে, শব্দবন্ধের কাছে আমার কবিতাকে নিয়ে যাই।
কেমন করে নিয়ে যাব?
আমার মাথায় ঢুকে গেলেও আমি তো আত্মস্থ করতে পারিনি। ব্যবহারিক জীবনেও কতশত শব্দের আসা-যাওয়া। কাকেই বা ধরতে পেরেছি! কাকেই বা
আমলকির মত মুঠো করেছি!
ছেঁদা কিংবা ছিদ্র আমার খুব চেনা। কাছেরও। অথচ ছেঁদা শব্দটি যত অনায়াসেই ব্যবহার করি না কেন, ছিদ্র শব্দটি ব্যবহার করিনা। কারণ, ছিদ্রের সঙ্গে আমার সম্পর্ক মাখো মাখো নয়।
ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি, ভাতের হাঁড়ি ছেঁদা হয়ে গেছে। জলের কলসি ছেঁদা হয়ে গেছে।
আমাদের নিম্নবিত্ত পরিবারে আমার নিরক্ষর মায়ের কাছে প্রথম শুনি " লোল "শব্দটি। বাক্যটি ছিল এরকম-----মা বসে বসে ঘর ঝাঁট দিতে দিতে বললো---আর কি পারি রে বাবা, গায়ের চামড়া লোল হয়ে গেছে।
শব্দটি আমার ভিতরে গেঁথে গেলেও আমি আজও ব্যবহার করতে পারিনি।
কতোবার তো শুনেছি-----ঘরের কোনো এক জেঠি বা খুড়ি কাউকে নির্দেশ করছে----ছোট বউকে বলবি সে যেন লাজ দুয়ার দিয়ে ঘরে আসে।
আমাদের গ্রাম বাংলায় একসময় সদর দুয়ার এবং লাজ দুয়ার সমস্ত পরিবারেই ছিল। সদর দিয়ে মেয়েরা ঘরে ঢুকলে আব্রু থাকবে না। সেই কারণেই, লাজ দুয়ার।
আমার লেখাতে লাজ দুয়ার নেই। সবটাই সদর। আমি যা আমার শব্দ তাই। একেবারে খোলামেলা।
শব্দেরও রহস্য থাকে, জানি। শব্দেরও মায়া থাকে, জানি। আমি চাই বা না চাই কোথাও না কোথাও রহস্য ও মায়া আমাকে ঘিরে ধরবে। শব্দের জালও থাকে, একবার ধরা পড়লে জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে যাওয়া কঠিন। আকাশ আমার কবিতায় ঘুরে ঘুরে আসে। তখন আকাশ আর শব্দে থাকছে না। আকাশ তখন অসীম। শব্দের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আমাকে নিয়ে যায় অসীমের দিকে। জল আঁজলাতে নিয়েও জলের প্রবহমানতা আমি ভুলি না। ভুলবো কেমন করে মাটির বিস্তার!
ভুলি নাই, আমাদের কথ্য শব্দগুলি। পুরুলিয়া জেলায়
মানুষের মুখে মুখে ফেরে অনেক অনেক শব্দ, যার রূপ যার ব্যঞ্জনা ব্যবহার করতে হলে, শব্দকে খেলাতে হবে রক্তে। এখন আমি যদি পেঁদা শব্দটির কাছে যাই, আমাকে ভাবতে হবে শব্দটির ওজন। এবং কবিতার বিষয়। যখন তখন যেখানে সেখানে যে কোনো শব্দ ব্যবহার করা যায় না। প্রাত্যহিক জীবনে যেমন, কবিতার ক্ষেত্রেও এক। হলুদ বললে আমি গাঢ় রঙ দেখতে পাই। হলদে বললে হালকা হলুদ দেখি।
আমার দৃষ্টিভঙ্গি আমার চেতনা শব্দ গ্রহণ করে। শব্দকে বর্জনও করে। আমার পরিবার থেকে আমার সমাজ থেকেও যে সমস্ত শব্দ আমি পেয়ে থাকি, সব কি আর ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে পারি! মাড় ভাত বললে, দীপ্ত এক ভঙ্গিমা দেখি। যেন এক দিনমজুর
সকালবেলা মাড় ভাত খেয়ে উঠছে। এবার কাঁধে তুলবে গাঁইতি-কোদাল। যা ফ্যান ভাত খেলে দেখতে পাবো না। ফ্যান ভাতে জোর নেই। মাড় ভাতে পেশি ফুলে উঠতে দেখি। পুরুলিয়ার রুখা-শুখা কঠিন মাটির মতোই দিনমজুরদের চেহারা। সাহসী চেহারা। পাহাড় ডিঙিয়ে কাজের শহরে যায়। অথবা পাহাড়ে যায় গরু ছাগল চরাতে।
শব্দ নিয়ে বলতে হলে নাকছাবির কথা বলতে হয়, আমি অনেকবার ভেবেছি, নাকছবি না নাকছাবি? নাকছবি বললে ফাঁকা ফাঁকা লাগে। যেহেতু, আজীবন শুনে আসছি, নাকছাবি। রক্তে শিরায় শিরায় নাকছাবি চলাচল করে।
জ্বলজ্বল করে মায়ের নাকে। দিদিদের নাকে। এই নাকছাবি তো হলুদ বনে হারিয়েও যায়।
হলুদ বন যে নির্জন।
নির্জনতা প্রেমে ভালোবাসায়। মন খারাপে। আর জনতা নির্জন হয়ে গেলে? সম্প্রতি প্রকাশিত বিভাস রায়চৌধুরীর কাব্যগ্রন্থের নাম, জনতা নির্জনতা।
আমি চমকে উঠেছি।
জনতা মানেই জোট। জনতা মানেই ভিড়। জনতা মানেই কোলাহল। বিভাস তা কিন্তু বলছে না, বিভাস বলছে-----জনতা নির্জনতা। কেন বলছে জানার জন্য কাব্যগ্রন্থটি সকলেরই পাঠের প্রয়োজন।
পাঠক আছেন। একাকী নির্জন।
-----বেলা--১২--৪৯
-----৪ ফাগুন ১৪২৯
-----১৭---২---২০২৩
-----নির্মল হালদার
আমার কবিতা--কাঠবিড়ালির লাফ--৮২
-------------------------------------------------------
আমার জীবনে নদীর ভূমিকা? আছে আছে। ছোটবেলায় সুবর্ণরেখাকে পেয়েছিলাম। বড় হতে হতেই হারিয়ে ফেলেছি। কাঁসাই আমার কাছে থাকলেও কাছে নেই। বারো মাস জল থাকে না। জল না থাকলেও যদি কাছে থাকতো, তার কাছে অনেক গল্প-গাথা আমার ঝুলিতে জমে উঠতো।
আমিও অভাবের কথা হাহাকারের কথা বলতে বলতে দিনরাত্রি। কেন না, আমাদের যে নিত্যদিন জল নাই জল নাই। তারপরেও আমার খুব প্রিয়, আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকে।
বৈশাখ মাসে হাঁটু জলও থাকে না। কাঁসাইয়ের কাছে যারা থাকে তারা চুঁয়া খুঁড়ে জল। এক কলসি। দু' কলসি।
এই যন্ত্রণা কখনো কখনো কবিতা। কখনো কখনো দিনলিপি। আমার দীর্ঘশ্বাস।
কে আর শোনে?
নদী যে সকলের জীবনেই এক অহংকার। অলংকার। সাজসজ্জাও। অনেক ছোটবেলায় লিখেছিলাম--- যতই চুলে টেরি কাটি যতই পরি জামা কাপড় নদী ছাড়া বেমানান লাগে।
নদীমাতৃক হয়েও আমরা পুরুলিয়ার মানুষ আজও বেমানান। আমাদের গ্রহণযোগ্যতা ভোটের বাক্সে। নদী মুখ নদীর পথ আগাছা ও মাটিতে পরিপূর্ণ হয়ে রুদ্ধ করেছে জলের গতি। সংস্কারের দিকে নেই, দুয়ারে সরকার।
আমার চেঁচামেচি আমার লেখা কে শুনবে? আমার অভাবে শুধু বালি ওড়াউড়ি। টিউকল থেকে ওঠে লোহা রঙের জল। কোথাও কোথাও আহত টিউকলের নিঃশব্দ গোঙানি।
আমি লিখবো না?
কাছে গিয়ে দূরে থেকেও কোপাইকে ভালোবেসেছি। সেও তো ঢাকা পড়ছে কংক্রিটে কংক্রিটে।
যেদিকে বাড়াবো হাত অন্ধকার। যেখানে রাখবো পা গর্ত আর গর্ত।
কবে আর মাথার চুড়া হবে আমার নদী?
গন্ধেশ্বরী দ্বারকেশ্বর কুমারী শীর্ণ হতে হতে তাদের দশা যে কি হবে মালুম করতে পারি। দেখতে পাই, নদীর জমিতে কল কারখানা। বহুতল বাড়ি। নদী তো আর বিলাস নয় নদী আমাদের কাছে বহমান এক জীবন।
নিবারণ করে আমাদের যাবতীয় তৃষ্ণা। ভালোবাসার জন্য আমরা আরও উন্মুখ হয়ে উঠি।
কবিতার দিকে যাই।
কবিতাও এক নদী। তার অবমাননা অপমানও দেখতে পাই যত্রতত্র। শিল্প যে সাংস্কৃতিক মাফিয়াদের মুঠোয় চলে যাচ্ছে, কে করবে প্রতিবাদ?
প্রতিবাদী কন্ঠস্বরও হারিয়ে ফেলছি। ঘুমিয়ে পড়ছি যেখানে সেখানে যখন তখন।
হে মানুষ, এই ঘুম ক্ষমা কোরো না।
----বেলা ১১--৩০
-----৬ ফাগুন ১৪২৯
----১৯---২---২০২৩
-----নির্মল হালদার
আমার কবিতা---কাঠবিড়ালির লাফ--৮৩
---------------------------------------------------------
রাস্তায় ভিখারি।
ক্ষুধার্ত কবিতা।
কে পড়ে? কারা পড়ে?
খিদেই তো একমাত্র সত্য। আর সত্যই তো কবিতা। লেখা হয় কি?
সত্যের কাছে দাঁড়াতে সাহস লাগে। সাহসী কবিতা লেখা হয় কি?
সত্যের সঙ্গেই থাকে সাহস। শিরদাঁড়া টানটান।
শিরদাঁড়া থেকেই ছুটে যায় তির।
যেকোনো অন্ধকারের দিকে ছুটে যায় তির। জ্বলে ওঠে প্রদীপ। প্রদীপের শিখা, উর্ধ্বশিখাই তো কবিতা।
মাথা নিচু করতে করতে রাস্তা দেখা গেলেও ধুলোবালি মাটি দেখা গেলেও মাঝেমধ্যে মাথা উঁচু করতেই হয়।
আকাশকে দেখতে হয়।
আকাশ সবসময় এক আলোর কবিতা। এই কবিতাই তো মাথা গোঁজার আশ্রয়। যেকোনো মূল্যে বাঁচিয়ে রাখা। আশ্রয়হীন হয়ে পড়লে দাঁড়াবো কোথায়?
এই কবিতাইতো সত্যি কথা বলে।
পিপাসা ও পিপাসা নিবারণ দুটোই সত্য। সেই সত্যকে জানতে হলে, সততার কাছে দাঁড়াতে হয়। এখানে আরেকটা কথা------ সৎ কিংবা সততা ভয়ংকর। তার সঙ্গেই লড়াই করার জন্য বাহ্যিক জীবনের চাহিদাকে ত্যাগ করতে হয়। ত্যাগও কবিতা বৈকি।
ক'জন ত্যাগ করে?
লোভ ও লালসা থেকে দূরে থাকা সহজ কাজ নয়। সহজ নয়, এই এক জীবনের আলো ছায়া। তার কাটাকুটি থেকে যে বেদনার ক্ষরণ হয়, তাকে ক'জন দেখে?
কবি দেখেন? পাঠক?
শুধু পাহাড় দেখলে হবে না, জঙ্গল দেখলে হবে না, নদী সমুদ্র দেখলে হবে না, দেখতে হবে তার ভেতরের আগুন।
খিদের আগুনের মতোই সত্য।
আড়াল করলে হবে না।
----১--৪৪
----৭ ফাগুন ১৪২৯
----২০---১---২০২৩
-----নির্মল হালদার
আমার কবিতা--কাঠবিড়ালির লাফ--৮৪
-------------------------------------------------------
নদীর কাছে প্রতিদিন দাঁড়ালেও আমি নদীর শব্দ কবিতায় ধরতে পারি না। সংগীত যা পারে কবিতা তা পারে না। সংগীত বা সুরের যা ক্ষমতা তা কবিতার নেই। আর্তনাদের ভাষা শব্দে ধরা যায় না। সংগীত ধরতে পারে। কখনো কখনো বিপন্নতার ছবি কবিতায় আসে। সার্থকতার সঙ্গেই আসে। গদ্য ভাষায় তো আসেই বিপন্ন মুখের ছবি।
নদীর বর্ণনা কবিতা ও গদ্যে নানা রূপে এলেও আমার কাছে রবীন্দ্রনাথের ওই যে--------আমাদের ছোট নদী চলে এঁকেবেঁকে---
"এঁকেবেঁকে "বললেই কোমর বেঁকিয়ে চলে যাচ্ছে নদী এই ছবিটি দেখতে পাই। তারপরে নদীর ছবি যাই দেখি না কেন, আমার পছন্দ হয় না।
"এঁকেবেঁকে" বললেই আরেকটা চিত্রকল্প আমার সামনে আসে, মনে হয় এঁকেবেঁকে আলপনা আঁকছে কেউ।
নদী তো যেতে যেতে আলপনাও আঁকে দু'পারে। ফসলের আলপনাও দেখতে পাই। সারা বছর।
সংগীতও এই ছবি দেখাতে পারে। সুরে সুরে। কথায়। শুধু সুর দেখাতে পারে কি? যদি কথা না থাকে?
শিল্প তো অসীম। প্রশ্ন এই, অসীম কি সহজ করতে পারে স্পষ্ট করতে পারে আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং জীবনের কলরোল?
সংশয় সন্দেহ থেকে এগিয়ে যেতে যেতে পাখির পায়ের ছাপ যত সহজে আঁজলায় রাখি সুর পারবে কি?
সুরের সঙ্গে কথা থাকলে পারতে পারে। এখানে বলতেই হচ্ছে, শিল্পেরও কোথাও কোথাও সীমা আছে। অতিক্রম করতে চাইলেও সীমানা ভাঙ্গা কঠিন হয়ে ওঠে। আমার মনে হয় কখনো কখনো, জীবন থেকে অনেক দূরে শিল্পের ঠিকানা।
জীবন ও শিল্পের একটা লড়াইও আছে। কখনো জীবন জয়ী। কখনো কখনো শিল্পের জয়। দু' রকম খেলাই ঘটে চলেছে। প্রতিদিন।
ঘুমের যে প্রসারতা স্বপ্নের হোক বা দুঃস্বপ্নের, রঙ- তুলি--কলম ও সুর ধরতে পারবে না কক্ষনো। ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু---বললেও ক্লান্তির যে প্রকৃত রূপ পটে আঁকা যাবে না।
সুরে আঁকা যাবে? রঙে আঁকা যাবে?
অনেক প্রশ্ন। কৌতুহলও আছে। নিজের কাছে প্রশ্ন। অপরের কাছে প্রশ্ন। কৌতুহল সর্বদা।
পিছন থেকে এক যুবকের কাঁধে মুখ ডুবিয়ে চলে গেল পাখি। কেন গেল? লালসা? লোভ? প্রেম? যৌনতা?
আমি ঘুরে বেড়াই। উড়ে বেড়াই। সুরে। সুর হীনতায়। রঙে। রঙ হীনতায়।
মেলাবেন তিনি মেলাবেন এই আশ্বাসে আমার দু'বেলা আহার ।
----দুপুর --২--৫
-----৮ ফাগুন ১৪২৯
----২১---২--২০২৩
----নির্মল হালদার
আমার কবিতা--কাঠবিড়ালির লাফ--৮৫
-------------------------------------------------------
মানুষ তার বাঁচার অধিকার নিয়ে রাস্তায় নামে। লড়াই করে। বনধ্ ডাকে। অবরোধ করে।
পৃথিবীর আর সব কীটপতঙ্গ পশু-পাখির অধিকারের কথা কে বলবে কারা বলবে? দিন দিন না-বলা প্রাণীদের জীবনযাপন যেভাবে ব্যাহত হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই কই?
মানুষের যেমন বেঁচে থাকার অধিকার আছে, বাকি সমস্ত প্রাণীদেরও আছে। এ কথা উপলব্ধি করতে মানুষের দেরি হয় কেন?
শিল্প সাহিত্যের পৃষ্ঠায় এই সমস্ত প্রাণীদের জন্য কলমের একটি আঁচড়ও নেই। মানুষের দুঃখ বেদনা আনন্দ বিষয়ে কোনো বিরোধ নেই। পাশাপাশি আশা করতেই পারি, মানুষের বাইরেও যে সমস্ত প্রাণ এই পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে, তাদের কথাও ভাবতে হবে। ভাবার সময় এসেও গেছে, নইলে শেষ হয়ে যাবে এই পৃথিবী। শিল্প সাহিত্যের পতনের ছবিও দেখা যাবে।
শিল্প সাহিত্য তো প্রাণী জগতের বাইরে নয়। সকল প্রাণ বেঁচে থাকলে শিল্প সাহিত্য বাঁচবে। বাস্তব যদিও, অন্যান্য প্রাণীদের মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে আধুনিক প্রযুক্তি আধুনিক পুঁজি।
কবিতা এই জায়গাতে অবিচল। শিল্পের বাকি শাখাতেও সাড়া-শব্দ নেই। লক্ষ্য করা যায়, শিল্পী সাহিত্যিকরা নিজেদের প্রতিষ্ঠার বিষয়ে যতটা সচেতন, ততটা সচেতন নয় দেশ কাল সময় সম্পর্কে।
প্রাণের সঙ্গে প্রাণের সম্পর্ক সহজ হলেই, প্রতিটি প্রাণ বেঁচে থাকার জায়গা পাবে। অধিকার তো পাবেই।
মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়াবার জায়গা পেলে মানুষের পাশে পশু পাখিও দাঁড়াবে।
শিল্প সাহিত্য সকল প্রাণের ধারায় কথা বলবে। উঁচু হয়ে।
-----দুপুর--২--৫৬
-----৯ ফাগুন ১৪২৯
-----২২---২--২০২৩
------নির্মল হালদার

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন