শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২
মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২
একতারার একটি তারে
একতারার একটি তারে
------------------------------
বসত কিংবা আশ্রয়
-----------------------------
আমার আশ্রয় নেই
তোর বয়সটা আমাকে দিলে,
আমি পাবো মাথা গোঁজার ঠাঁই।
একটা ঠাঁই একটা হৃদয়
একটা হৃদয় এক নৈকট্য
চড়ুই পাখির মত নরম, আদুরে
আকাশেও বসত গড়ে।
পথ
--------
পথের শেষ নেই
তোর পায়ের ছাপ আঁকড়ে
আমার পথ চলা
তোর পায়ের ছাপ বুকে ধরে
আমার পথ চলা
পথের সঙ্গেই তো জুড়ে আছে পা
পথের সঙ্গে একটু জুড়ে আছে প্রণয়।
নিবিড়
------------
আমার ভেতরে লুকিয়ে আছে আরেকটা বয়স
শুধু ছুটছে।
আকাশে ছুটছে বাতাসে ছুটছে
শিকড়ে শিকড়ে ছুটছে,
পাতায় পাতায়।
মাছের সঙ্গেও ছুটছে জলে জলে
ধুলোর সঙ্গেও ছুটছে ধুলোর গভীরে
ফুলের সঙ্গেও ফুটছে,
আনন্দময়।
আমার ভেতরে লুকিয়ে আছে আরেকটা বয়স
উত্তেজিত উজ্জ্বল
নিবিড়।
-----১১ পৌষ ১৪২৮
-----২৭-----১২----২০২১
এই চরাচরে
---------------
আমি দুঃখ নই সুখ নই
আমি বিক্রয় যোগ্য নই
তোর বাজারে আমাকে মানায় না।
আমি আলো নই অন্ধকার নই
আমি বিক্রয় যোগ্য নই
তোর বাজারে আমাকে মানায় না।
আমি ব্যথা নই আনন্দ নই
আমি বিক্রয় যোগ্য নই
তোর বাজারে আমাকে মানায় না।
এই চরাচরে আমি শুধু নতজানু।
পিপাসা
----------
আপনি বললেন, সে আসছে।
আপনি মিথ্যে বললেন, সে আসছে না।
শুধু হাওয়া আসছে শুধু হাওয়া।
আমার মুঠিতে ধরবেনা
অনেক রূপ তার অনেক ঐশ্বর্য।
অনেক কথা তার অনেক গভীরতা।
আমার মুঠিতে আঁটবেনা।
আপনি বললেন, তৃষ্ণা আসছে।
আপনি সত্যি বললেন, আমার অস্থিরতা আসছে।
-----১২ পৌষ ১৪২৮
-----২৮----১২----২০২১
ভিক্ষা
----------
একটি দুটি গাছের পাতা মাথায় পড়লেও
রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে আজও ভিক্ষা নেই।
কোথায় যে দাঁড়াবো আর,
কার কাছে?
আরো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে
যদি স্পর্শ পাই একটি হাতের?
আমার শূন্য ঝুলি ভরে উঠবে।
ঠাঁই
--------
যেটুকু চোখের আলো
আমার শুকনো প্রদীপে দিও
আমার প্রদিপ যে একলা বড়ো।
আমার একলা পথও একাকী সলতে
কে জ্বালাবে?
জ্বালাও জ্বালাও
প্রদীপের শিখাই যে চোখের শিখা
আমার ঠাঁই।
------ নির্মল হালদার
------১৩ পৌষ ১৪২৮
-----২৯-----১২----২০২১
মায়া
-------------
গাছের কোটরে কে রেখে গেলো হৃদপিণ্ড?
সূর্যের আলো আসছে
হাওয়া আসছে
পাখিরাও আসছে
কে রেখে গেলো হৃদপিণ্ড?
আমি কি দেখেছি আগে?
আমি কি দেখবো পরে?
গাছের কোটরে কে রেখে গেলো মায়া?
মুখ
--------
আমি কি দেখেছি আগে এই মুখ?
আকাশের কাছে তুলে ধরলে সূর্য ম্লান হয়ে যায়।
সূর্যের কী দোষ, সূর্য তো এইটুকু একবিন্দু।
আমি কখনো কপালে বসাই
আমি কখনো গাছে বসাই
আমি কখনো মুঠোয় করি
চরাচর জুড়ে একটাই মুখ
চাঁদের কাছে তুলে ধরলে নক্ষত্ররা নিভে যায়।
------১৪ পৌষ ১৪২৮
------৩০----১২----২০২১
হাওয়া
------------
হাওয়ার হাত ধরে কত দূরে যাওয়া?
একদিন
বাবা হাত ধরেছিল।
একদিন
মা হাত ধরেছিল।
কতদূর এসেছি আমার কাছে স্পষ্ট লাগেনা।
সহজ লাগেনা আমার হেঁটে যাওয়া।
খালডোব পার হই
কাঁটাঝোপ পার হই
নদী-নালা পার হয়েও সহজ লাগেনা
হাওয়ার হাত ধরে আমার যাওয়া
কার কাছেই বা যাবো?
কতদূর?
ধূলামুখ
------------
এই যে রোদ এসেছে কে পাঠালো?
আমাকে পাঠিয়েছে কে?
তোকেই বা কে পাঠালো আমার কাছে?
দিন নেই রাত নেই শুধু তুই
তোর পায়ের তলার মাটিতে আমার ধূলামুখ।
------১৫ পৌষ ১৪২৮
-----৩১-----১২----২০২১
শোভা
-----------
আর কিছু চাইবো না
বৃক্ষের শোভা
তোমারই মনের শোভা
আমাকে দাও।
বৃক্ষের আড়ালেই থাকে বৃক্ষ
বৃক্ষের পাশেই থাকে বৃক্ষ
বৃক্ষের বীজেই থাকে বৃক্ষ
বৃক্ষের শোভা আমাকে দাও।
আর কিছু চাইবো না
মনের সুবাস আমাকে দাও।
অঙ্কুর
-----------
কেউ মৌমাছি হয়ে উড়ছে।
কেউ মধু হয়ে স্তব্ধ।
কেউ কেউ জলের স্রোত।
কেউ কোথাও পাথরের ভূমিকায়।
তুমি একটি অঙ্কুর
কার দিকে যে চাইবে, কার দিকে চেয়ে
তুমি একদিন বৃক্ষ
আজকের পাখিরা বলতে পারবে না।
-----১৬ পৌষ ১৪২৮
-----১----১---২০২২
সর্বনাশ
-------------
সহজেই আকাশ ধরতে পারি
শিকড় ধরতে যাব যেই
ঘুণপোকা এসে হাত কামড়ায়।
রক্ত নেই এক ফোঁটা, শুধু
সর্বনাশের অন্ধকার, শুধু তুই
আমার নিঃশব্দ গৌরব।
অভাব
------------
পারিজাত ফুল নেই
কী আছে আর কী নেই কত বলবো,
অভাব থেকে এসে অভাবেই আছি,
এই কথা বলে বলবো,
গরম গরম ভাতের মত জীয়ন্ত তুই,
তোর অভাবও আমাকে আদর করে,
আমার কদর করে।
------১৭ পৌষ ১৪২৮
------২-----১----২০২২
পথিকা
------------
নদীও পথিক অথবা পথিকা
আমাকে দেখেই থমকে গেল।
রাম শ্যাম যদু
ফসলের কথা আমাকে বলেনি।
নদী আমাকে শোনালো, ফসলের রূপে
হামলে পড়ছে হাতি।
আমি কার রূপে মজেছি?
আমাকে প্রশ্ন করেই, নদী শুরু করলো চলতে।
দেখা হবে
---------------
বাঘের সঙ্গে দেখা হলে হতেও পারে।
চন্দন গাছের সঙ্গেও দেখা হবে।
সমুদ্র হঠাৎ দাঁড়াবে আমার দুয়ারে।
একটি তারার জন্মের সঙ্গেও দেখা হবে।
ভুল রাস্তায় গিয়ে দেখা হবে
ঠিক মানুষের সঙ্গে, যার ঠিক ঠিকানা,
আলোবাসা-----আকাশের উড়াল।
------১৮ পৌষ ১৪২৮
-----৩-----১----২০২২
রাস্তা
---------
যে রাস্তাতেই হেঁটে যাবো
পূর্বপুরুষের পায়ের তাপ।
আমাকে চেনে।
তাপে উত্তাপে আমিও হেঁটে যাই
রাস্তা ছোট হয়ে বড় হয়ে
আমাকে লালন করে, আমিও
ছোট রাস্তা বড় রাস্তা গেঁথে,
একটি মালা করি।
পূর্ব পুরুষের গলায় পরাবো।
ঘর
-------
আমাকে নিয়ে যাবি
তোর ঘরে ফেরার রাস্তায়?
তোর ঘরে যাব না।
ভয় নেই, তোর ঘরে কখনো যাবনা।
ঘরতো আমার একটাই মাটির নিচে।
-----১৯ পৌষ ১৪২৮
-----৪----১----২০২২
------নির্মল হালদার
তাপ
---------
আমি প্রথম মানুষ
আগুনের চেয়েও গভীর তাপ
আমার মনের তাপ
বীজের মতো ছড়িয়ে দিয়েছি
মাটিতো গ্রহণ করবেই
তুমি শুধু উপেক্ষা করে
আমাকে উজ্জ্বল করবে।
শিশির
------------
যাবোনা
কোথাও যাবো না আর
একটি পাতায় একটি শিশির বিন্দু
আমার দিকে চেয়ে আছে
কোথাও যাবো না আর
একটি শিশির এক বিন্দু আগুন
আমার দিকে চেয়ে আছে
কোথাও যাবো না আর
আজ শিশিরে শিশিরে পুড়বো।
------২০ পৌষ ১৪২৮
-------৫-----১----২০২২
কুঁড়ি
----------
রোদ এসে খুঁজছে তুমি কোথায়?
আগেও রোদ এসে খুঁজেছিল
মেঘ এসে খুঁজেছিল
ধূলা খুঁটে খুঁটে পায়রাও খুঁজেছে,
তুমি কোথায়?
তুমি কোথায়?
ব্যথাও কুঁড়ি হয়ে আছে।
তাপ
---------
রোদে তুমি চুল শুকাও
রোদকে তুমি রোদ বুঝেছো।
আর আমি রোদকে ভয় পাই,
ভালোবাসি
বিরহের তাপ থেকেই রোদের তাপ।
-----২১ পৌষ ১৪২৮
-----৬----১----২০২২
রঙিন
-----------
অনেকদূর চলে এসেছি, পাশে বৃক্ষরা ছিল
আজও আছে।
দূরে থাকলেও সঙ্গে আছে পাহাড়
আশীর্বাদের মত
আর আছে আকাশ, সে না থাকলে
হাঁটতে পারিনা, হেঁটে তো যেতেই হবে
দু'পাশে প্রজাপতি ওড়াতে ওড়াতে
নিজেকে রাঙিয়ে
ও রঙিন, তোমাকে যে ভালবেসেছি।
খেলা
--------
চন্দ্রমল্লিকার পাশে টগর মানিয়ে গেলেও
তোর পাশে আমাকে মানায় না।
পাহাড়ের সঙ্গে ঝরনা ছাড়া কাকেই বা মানাবে?
জলের সঙ্গে মাছ খেলা করছে করুক
তোর সঙ্গে আমি খেলবো না
আমার ধুলোখেলা আমার সঙ্গেই উড়বে।
-----২২ পৌষ ১৪২৮
-----৭----১----২০২২
প্রবেশ
----------
যদি দুয়ার থাকে প্রবেশ দাও
খালডোব থেকে প্রস্থান করে
এসেছি তোমার কাছে, দুয়ার দাও
প্রশস্ত হও
এই মিনতি জানাই
এই সূর্য ডাকা সকালে।
বাতাসে বাতাসে
------------------------
সোহাগ করবো চাঁদের আলোয়
চাঁদ কোথায়?
বুক খুলে দিয়েছি শুধু বিরহ বাতাস
আর কোনো ভূমিকা নেই
বাতাস শুধু বিরহ ছড়ায়
বাতাসে বাতাসে বালিও ওড়ে
রাস্তা নেই আর
নিজেকে খুঁড়ে নিজের ভেতরে প্রবেশ করি।
-----২৩ পৌষ ১৪২৮
-----৮----১----২০২২
ওষধি ফল
-----------------
হরিতকী--বহেড়ার মত ওষধি ফল
না দিতেই পারি, তবে
আমার মন দিতেই পারি, একদম টাটকা,
সবুজ।
পাখিরা চেয়ে থাকে। কাঠবিড়ালিও।
সবুজ না বলে বলতেই পারো
ফুটন্ত ভাতের ধোঁয়া, সুগন্ধি----
মনে মাখতেই পারো, ভরে উঠবে মন
অথবা মনে খিদে উঠবে,
উগ্র।
ভালোবাসা
-----------------
একটা কুড়ুলকে দেখলে গাছের ভয়
ভালোবাসাকে দেখলে আমার ভয়
যেন নিঃশব্দে ঘাতক আসছে, বিনা রক্তপাতে
একটা নিষ্ঠুর হাসি, আমার নীরব চিৎকার
আমি শিশিরে ডুবতে চাই
একটি পাতা আঁকড়ে বাঁচতে চাই
ভালোবাসাকে দেখলে আমার নিজস্ব রোদ
নিভতে নিভতে অন্ধকার, হৃদপিণ্ড থেকে ধোঁয়া ওঠে
হাহাকার।
------২৫ পৌষ ১৪২৮
------১০----১----২০২২
সাত রঙের ধারায়
----------------------------
সকালের পরেও একটা সকাল, তুই
নদীর ভেতর থেকে উঠে এসে
আমাকে খুন করলি।
আমি আর্তনাদ না--করে চেয়ে আছি
নদীর দিকে
সাত রঙের ধারায় আমার প্রেম
নির্জনতা।
মুখ
-------
সকাল এসেছে
মানুষের মুখ
সূর্যের কিরণের মত সুখ-দুঃখের রেখা
পাথরের তলায় জলের স্রোত
পিতৃ পুরুষের মতোই নীরব
একাকী।
প্রবেশ করবে না রোদ।
আমি যাই,
পাথর উল্টে মুখ দেখবো।
-----২৬ পৌষ ১৪২৮
-----১১----১----২০২২
প্রণাম
-------------
ঘরে পায়ের ছাপ, উঠোনে পায়ের ছাপ
ধরে রাখতে পারিনি।
রাস্তাতেও পায়ের ছাপ, পায়ে পায়ে মুছে গেছে।
শেষবেলার পায়ের ছাপ
আমার মায়ের আলতা পায়ের ছাপ,শাদা কাগজে নিয়েছি,
দেয়ালে টাঙানো।
------২৬ পৌষ ১৪২৮
-----১১----১----২০২২
আকাশে
---------------
আজও আকাশে লাল টিপ দিয়েছি।
ইচ্ছে করলে, ওই লাল টিপ
তুমিও কপালে পরো
আমার হাত ধরো
ভ্রমণ করব আকাশে আকাশে।
ভালোবাসা
-----------------
একটা টাঙি
একটা হাঁসুয়া
একটা কুড়ুল
যতই ধারালো হোক
ভালোবাসা দুয়ারে দাঁড়ালে
সবাই ম্লান হয়ে যায়
পাহাড়কেও ছোট লাগে।
ভালোবাসা লাঙ্গলের মত
সীতার জন্ম দেয়।
বহমান
------------
মাটি খুঁড়লেই হাড়
আমার হাড়?
আমার পূর্ব জন্মের হাড়?
আমার মৃত্যু কোথাও ছিল না
আমি বহমান সুরে শস্য শ্যামল।
-----২৭ পৌষ ১৪২৮
----১২---১----২০২২
ফাটাফুটো
------------------
ক্যালেন্ডারে ঢেকে ফেলেছে
তাদের ফাটা ফুটো দেয়াল।
শুধু তার দিদি আলতা পরেও
ঢেকে রাখতে পারেনা ফাটা গোড়ালি।
-----২৭ পৌষ ১৪২৮
-----১২----১---২০২২
হৃদয়
---------
পাহাড়ের দেখা পেলে
আমার প্রেমের দেখা পাই
পাহাড়ে গোপন ঝরনা।
নদীর দেখা পেলে
আমার চলা দেখতে পাই
নদীর ভেতরেই আমার ছন্দ।
সমুদ্রের দেখা পেলে
সকল হৃদয় দেখতে পাই
আমিও যে হৃদয় মেশাই।
ডুব
--------
নদী একটা পরব
চলার ছন্দে ছন্দে পরব
অন্তরে বাহিরে রঙ
যত পারবে ছেটাও
ফসলের গান গাও
নদী একটা পরব
নিজেকে ভাসাও
মাছের মতো গরব করো
যত পারবে ঢেউ ওঠাও
বুকের ভিতরে আগুন জ্বালো
নদী একটা ডুব।
------২৮ পৌষ ১৪২৮
-----১৩-----১----২০২২
হাত
----------
কোথায় যে যাচ্ছি কার সঙ্গে?
আমার ভয় করছে
শুধু ভিড়।
আমার ভয় করছে
ভাব নেই এক ফোঁটা।
কোথায় যে যাচ্ছি কার সঙ্গে?
আমি দাঁড়িয়ে পড়েছি।
হঠাৎ
বাবা এসে আমার হাত ধরলো।
-----২৯ পৌষ ১৪২৮/মকর সংক্রান্তি
----১৪----১----২০২২
কাঁচা হাঁড়ি
-----------------
আমার কাঁচা হাঁড়িতে কে ঢেলে গেল জল?
সকালবেলা
রোদ এসে বসলো না গায়ে
একটি কাক ডেকে উঠলো না
আমার চোখে পড়লো না একটি মানুষও
আমার কাঁচা হাঁড়িতে কে ঢেলে গেল জল?
হাঁড়ি থাকবে না জল থাকবে?
আমাকে বলে যাও হে মধু।
আমার মন যে বড় চঞ্চল।
বেহায়া
------------
মেঘের কথা নাইবা বললাম
বেহায়ার মত রোজ রোজ
আমার দুয়ারে,
আমাকে জ্বালাতন করে।
গরম ভাত বেগুন পোড়া
কতইবা দিব!
পোষের সেদ্ধ পিঠা
কতইবা দিব!
নতুন ধানেও পেট ভরে না।
সরষে বাড়ির দিকে হাত বাড়ায়
কাঁথাকানিতেও ঢুকে পড়ে।
মোষের মত চেহারা
ঘরে-বাইরে অন্ধকার লাগে
আমার ভয় করে।
একমুঠি হাসি কে দিবি আমাকে?
অরন্ধন
--------------
শিল--নোড়া আর কী বলবে?
হলুদ বাটার শব্দ হলে কথা বলবে।
উনুনও আজ চুপ আছে।
------১ মাঘ ১৪২৮
-----১৫----১----২০২২
আয়রে আমার টায়রা
---------------------------------
এসো এসো
ও হাওয়া, এসো এসো----
কবে ডেকেছি?
রাতের বেলায় চাঁদকে ডাকলেও
জোনাকিকে কবে ডেকেছি?
বৃষ্টি ডাকলেও ব্যাঙকে কবে ডেকেছি?
ব্যাঙও আমাদের জল ছপ্ ছপ্ খেলার সাথী
এক্কাদোক্কা খেলছি
আমার সঙ্গে আছে খোলামকুচি
সারাদিন খেলা
ধুলায় ধুলায় ঘর কেটেছি,
আয়রে আমার টায়রা।
-----২১ পৌষ ১৪২৮
-----৬----১----২০২২
-----নির্মল হালদার
------------------------------
উৎসর্গ: রামানুজ মুখোপাধ্যায়
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যসমূহ (Atom)
জনপ্রিয় পোস্টসমূহ
-
দুলিয়া এক প্রেমিকা প্রকৃতির কাছে -------------------------------------------- আশ্রম কন্যা? চঞ্চল বালিকা? কবি? প্রজাপতির উড়াল? কী যে বলবো ...
-
আমার ছোট্ট বন্ধু পালক। বাজারে গেলেই আমার সঙ্গে। নানা রকম বায়না। হাঁটতে না পারলে, কোলে নাও। আমি পেরে উঠি বা না উঠি আমি তাকে কোলে তুলি। এক এক...
-
গাছের মাথায় তারা জ্বলে শ্যাম ভাইয়া---- হ্যাঁ শ্যাম ভাইয়াকে যখন ইচ্ছে ডাকলে সাড়া পাবো এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। সেই নিশ্চিন্ততা থেকে আমাদের ব...
-
পাখির ভুবনে ----------------- আমার কাঁধে কার ভার নিয়েছি? সংসারের হাল তো আমার কাঁধে নেই। আমার কাঁধে নেই একটিও খড়ের আঁটি। তবে অনেক ভালোবাসা...
-
সুজিত এক আশ্রয় -------------------------- সুজিত সরকার আমার সতীর্থ। আমার বন্ধু। সতীর্থ না বন্ধু কোন্ দিকে আমার পাল্লা ভারী? কবি সুজিত সরকার...
-
পাহাড় আমাদের সম্পদ ------------------------------ পাহাড় একটি অভিমান। পাহাড় এক অপেক্ষাও। আমারতো পাহাড়তলি ঘর। আলো আসে। হাওয়া আসে। চেনা অচ...
-
যে তপন প্রকাশিত হয়নি ------------------------------ মানবাজার অনেকদূর হলেও অনেক কাছে। মানবাজার থেকে সারাদিন অনেক বার ফোন। তপনের ফোন। দুপুরে...
-
তার শিল্পসৃষ্টির কাছে সরস্বতী বীণা বাজিয়ে চলেছেন ------------------------------------------------------------------- পুরুলিয়ার প্রকৃতি পুর...
-
সমীরের বন্ধুত্ব। সমীর আইচের চিত্রকলা। ----------------------------------------------- নদী থেকে নদীতে যেতে হয়। একটা নদী থেকে আরেকটা নদীর রূপ...
-
বাংলাবাজারের তোয়াক্কা না করে, পাঠকের দিকে না তাকিয়ে, একটার পর একটা বই, গল্পের বই, উপন্যাস প্রকাশ করে চলেছেন স্বপন চক্রবর্ত্তী। স্বপন আদ্যো...



















