বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১

শেষ চৈত্রের দুপুর


দু তিন দিন হলো, রোদের তেজ বেড়েছে। এই রোদ রোদ নয়, রোদের স্পর্ধা। ভয় লাগে। আবার এও ঠিক,এই ভয় ডিঙিয়ে কুলি মজুর কাজ করছে। দুপুরে যখন টিফিন খুলে খাওয়া দাওয়া করে, তখন কোথাও কোথাও মাথায় ছাদ থাকে না। একেক সময় মনে হয়েছে, এদেরই ভয় পায় রোদ। কোনো ভাবেই রোদ তাদের গায়ে থাবা বসাতে পারেনা।

রোদের ফুর্তিও আছে, এ সময় ফুল ফোটে দেদার। তাই রোদ সুগন্ধি ছড়াতে ছড়াতে বেলি ফুল দেখায় আমাদের।

বেলি ফুলের মালা হাতে জড়িয়ে হেঁটে যাওয়া মানুষ দেখেছি। দেখেছি, তাদের আভিজাত্য। দেখেছি, অহংকার। দেখেছি, খোঁপায় জড়ানো মালা। মনে হয়েছে, এখুনি মৌমাছি এসে বসবে ফুলে ফুলে।
অথবা প্রেমিক এসে ফুলের মুখে মুখ রাখবে।

তো, যা বলছিলাম--------
এই রোদের দিনে ছাদে শুকোতে দেওয়া আমের আচার গন্ধ ছড়ালে জেগে উঠতো খিদে। ভাতের খিদে। তখন হয়তো মায়ের রান্নাঘরে ভাত নেমেছে।
বাকি কিছুই হয়নি বলে, খেতে বসা যাবে না। ছাদে উঠে শুকোতে দেওয়া কুল তুলে একটার পর একটা।খিদে মরে যেত।

রোদের দিনে ঘরে বসানো দই। আমের চাটনি। মনের রোদ কেটে যায়।

মনেও রোদ আসে। প্রখর। তাকে আড়াল করতে কোনো ছাউনি নেই। এই মর্মবেদনা থেকে রোদ আরো তীব্র হয়ে আমাকে অস্থির করে। আমি মেঘ খুঁজে খুঁজে আকাশের দিকে উঠতে থাকি। নির্ভয়।

একাকী।

-----২৫ চৈত্র ১৪২৭
-----৮----৪----২০২১
-----নির্মল হালদার




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কবি নির্মল হালদারের বিভিন্ন সময়ের ছবি

পড়ুন "ঘর গেরস্থের শিল্প"

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ