বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২

।। প্রজাপতির উড়াল ।।



এই তো আমাদের বর্তিকা।

লাল নীল হলুদ সবুজ প্রজাপতির উড়াল। তার পাখার হাওয়াতে
আমরাও উড়ে উড়ে যাই।

আমরাও রঙিন।

এই তো আমাদের রঙিন বর্তিকা।

চকোলেটে মন নেই। বরং সে
ধুলা মাটি খেলতে ভালবাসে।
বাবার কাঁধে উঠে পড়ে। মায়ের শাড়ির আঁচল ধরে কাঁদে রিনঝিন।

তার দু ফোঁটা চোখের জলে রঙ
ঢেলে তার বাবা ছবি আঁকে।
বর্তিকা ছিঁড়ে ফেলে ছবি।
সে শুয়ে পড়ে ঘাসে। সে
ভয় দেখায় কাকতাড়ুয়াকে।
মা ধরতে গেলে সে চলে যায়
চেয়ারের তলায়।

আকাশ তলেও বর্তিকা
ছুটে বেড়াতে বেড়াতে খুঁজে পায় তার সঙ্গী -------একদল ফড়িঙ।

ফড়িঙের ডানার সঙ্গে নিজের ডানাও বেঁধে নিয়েছে। মাঝেমধ্যে
তার বাবা তার সঙ্গে খেলতে নেমে
মুঠোয় ধরে আকাশ।

বর্তিকা চেয়েছে আকাশের সঙ্গে
মাটি খেলা খেলবে।

আজ বর্তিকার কাছেই প্রাণ তরঙ্গ।


-----১৫ চৈত্র ১৪২৮
------৩০----৩----২০২২
------নির্মল হালদার

















































ছবি : কল্পোত্তম


।।ধানের শীষ ধানের ছড়া।।



অবিন বলি আর অবনী বলি
সে থাকবেই কাঁসাই নদীর পারে।
সে যে ভূমিপুত্র। মাহাত পরিবারের সন্তান। চাষি ঘরের ছেলে।

অবিন বলি আর অবনী বলি
সে যে ধান ঝাড়াইয়ে তুলবে
আকাশের আহ্লাদ।

সে ভালোবাসাকে লুকিয়ে ফেলে
আখের ক্ষেতে।
কোথাও প্রকাশ করবে না নিজের অনুভব। অনুভূতি।

অবিন বলি আর অবনী বলি,
সে ভোরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে
ভোর হয়ে ওঠে। ছুটে বেড়ায়
মাঠে মাঠে।

পাখিরা জেগে ওঠে। ডেকে ওঠে:
ওগো---ঘুম ভাঙানিয়া-----


-----১৫ চৈত্র ১৪২৮
-----৩০----৩----২০২২
------নির্মল হালদার
























ছবি : সন্দীপ কুমার



।।ভুবনের এক কোণে একটি উত্তম।।


যে হাতে মাটি মাখে, সেই হাতেই
কলম ধরে উত্তম। উত্তম মাহাত।
যে হাতে বাঁশের লাঠি ধরে গাই--গরু শাসন করার জন্য, সেই হাতেই রঙ--তুলি ধরে উত্তম।
উত্তম মাহাত।

জীবন ও জীবিকার লড়াইয়ে সে
দিনমজুরি করতে এক পা পিছিয়ে থাকে না।
সে ধারাবাহিকভাবে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। তার হাতে কর্নিক
পরিচালিত হয়ে থাকে।

সে জানে কোনো ঘরবাড়ি অথবা ইমারত তার জন্য নয়। শুধু তার জন্য কলম ও কালি। রঙ ও তুলি।

সে কল্পোত্তম।

সে সৃজন সুন্দর।

সেই সৌন্দর্যের টানে আলোকচিত্রশিল্পী সন্দীপ কুমার
উত্তমের বেড়াদা গ্রামে এসেছিলেন।

সন্দীপ আলোকিত মুখের ছবি যেমন ক্যামেরায় ধরে রাখেন,
তেমনি অনালোকিত অনালোচিত
মুখের ছবিও ক্যামেরায় ধরে
ছড়িয়ে দেন দিকে দিকে ।

সন্দীপের ক্যামেরায় উত্তমের
রোদে পোড়া মুখের হাসিও ধরা পড়েছে।
যে হাসি থেকে ঠিকরে পড়ে বীজ।

বিশ্ব।

-------১৫ চৈত্র ১৪২৮
------৩০----৩----২০২২
------নির্মল হালদার



















ছবি : সন্দীপ কুমার






মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২

পলাশের ডানা / নির্মল হালদার



কৈশোর উত্তীর্ণ আলো আমরা দেখেছি কি? কৈশোর উত্তীর্ণ উচ্ছলতা আমরা দেখেছি কি?

জলের কৈশোর জলের যৌবন
আমরা যেমন জানিনা, তেমনি
এই প্রীতম নামে কিশোরের বা
প্রীতম নামে নবযৌবনের রূপ
আমরা জানি না।

সে আমার কাছ থেকে অনেক দূরে থাকলেও আমার কাছেই থাকে ।

প্রতিদিন।

সে যেন এক হরিণ।
ছোঁয়া যাবে না। ধরতে পারা যাবে না কোনোভাবেই। অথচ তার শিঙে লটকে থাকবে ডালপালা।
আর চাঁদ।

সেতো জঙ্গলে জঙ্গলে আমাদের ছুটিয়ে নিয়ে যাবে ঝর্ণার কাছে।

যে ঝর্ণা থেকে জল খায় হাতিরা।

আমরাও আমাদের তৃষ্ণা নিবারণ করবো। চেয়ে থাকবো প্রীতমের
নিজস্বীর দিকে।

ছবির রহস্যের দিকে।


------১৪ চৈত্র ১৪২৮
----২৯----৩----২০২২
------নির্মল হালদার
























ছবি : নিজস্বী

কবি নির্মল হালদারের বিভিন্ন সময়ের ছবি

পড়ুন "ঘর গেরস্থের শিল্প"

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ