ওই দূরে সিঁদুর পুরের পাহাড়।
কেউ ডাকলেই কাছে এসে দাঁড়াবে। ডাকেও। সেই ডাক
একমাত্র শোনে, শুনতে পায়
বাপি।
বাপি কর্মকার।
বাপিদের গ্রাম বাথান থেকে কাছেই সিঁদুর পুর। এখানে
বাপির বন্ধু ভোরাই থাকে রাখাল রাজা হয়ে। সেইতো সিঁদুরপুর পাহাড়ের ছায়া নিয়ে সৌন্দর্য মুখর।
বাপিকেও ছায়া দিয়ে থাকে
তিলাবনি পাহাড়। যে সব সময়
মাথা উঁচু করে থাকে।
বাপির ভাব ভালোবাসাও তিলাবনি পাহাড়ের সঙ্গে। সে
তার ভাবের রসে পাহাড়ে ফোটায়
আনন্দ ঝর্ণা।
বাপি ছুটে বেড়ায়।
নদীতে জঙ্গলে। আলো-ছায়ায়।
বাপি জীবন ও জীবিকার স্বার্থে
একটা কাজ করলেও অস্থির হয়ে থাকে। কেননা, সে চাইছে তাল খেজুর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে।
তাল--খেজুর গাছ একমাত্র
ব্রহ্মাণ্ডকে পিপাসা থেকে বিরত করে কখনো কখনো।
রসে--বশে রাখে।
সেই খবরটা পেয়েই আলোকচিত্রশিল্পী সন্দীপ কুমার
ছুটে এসেছিলেন বাথান।
বাপির কাছে। এবং বাপির নিঃশব্দ-ছন্দের কয়েকটি মুহূর্ত
তার ক্যামেরায় ধরে রেখেছেন।
যা সকলের জন্য এইখানে।
যদি সবার কাছে ছবির শিল্পগুণ
গ্রহণযোগ্য হয়, যদি সবাই বাপির মন পড়তে পারে, তবে বাপি ও সন্দীপকে ভালবাসতে দেরি করবেন না।
-----নির্মল হালদার
-----১৪ চৈত্র ১৪২৮
-----২৯-----৩----২০২২



















কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন