অনন্ত কালের স্নান
বৃষ্টির জলে স্নান করবো।
অনন্ত কালের স্নান। আজকেই হবে সেই স্নান।
অবশ্যই একটি স্বপ্নকেও ধুয়ে যেতে দেবো না। শুধু স্নান করবো।
আমার স্নান।
আজ দুপুর থেকেই মেঘ এসে বলছিল, তৈরি হও। তৈরি হও।
বৃষ্টি নিয়ে আসছি। স্নান করবে তুমি।
সেই বার্তা পেয়ে মহুল কে বললাম। সে জানালো, আমার মত আবেগের তার নাকি দরকার নেই।
ভালবাসার দরকার আছে কি?
কি দরকার কি দরকার নেই
আমরা জানি না। আমরা জানি না, ইঁট চাপা ঘাসের বেদনা। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ ইঁট টি তুলে ঘাসকে প্রাণের দিকে এগিয়ে দেয়।
কী দরকার?
ঘাসের থাকা না থাকা নিয়ে কি যায় আসে! তবু তো কেউ একজন ঘাসের ব্যথা থেকে ব্যথিত হয়ে ঘাস কে বাঁচায়।
বাঁচানো টা খুব দরকার?
অথচ মহুল রাস্তায় পড়ে থাকা
অর্ধমৃত মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছিল। মহুল পথশিশুদের জন্য লেখাপড়ার
ব্যবস্থা করেছে। আজ সেই বলছে,
কি দরকার?
একজনের স্নানের সঙ্গে আরেকজন স্নান করলে চরাচরে জেগে ওঠে চন্দ্র সূর্য। একইসঙ্গে।
যুগল রূপ মিলনের রূপ।
একা একা কি আর মিলন হয়?
একা একা কি উদযাপন করা যাবে বৃষ্টির আনন্দ?
কবুতর আসবি তুই?
আমরা একই সঙ্গে স্নান করবো।
আমাদের ছাদটা পছন্দ না হলে
আমরা মাঠে চলে যাব।
আয় না রে চলে আয়।
একটার পর একটা ফোন বন্ধুদের কাছে। অপরপ্রান্ত থেকে অবিন কেবল শুনতে পায় , তার পাগলামিতে কেউ নেই। কেউ থাকতেই পারে না।
সে মহুলকে আরেকবার চেষ্টা করে। যদি সে আসে। সেই হবে একমাত্র স্নানের সঙ্গী।
এইবার সে বললো, যেতে পারি
তোর সঙ্গে কথা বলতে। স্নান করবো না।
আসবার দরকার নেই তোর-----
অবিন জানিয়ে দিলো। সে
বাড়ি থেকে বাইরে এসে , রাধাচূড়া
গাছটার নিচে দাঁড়ালো।
বৃষ্টি চলছেই।
অন্ধকার বৃষ্টি।
কেউ কোথাও নেই। শুধু বৃষ্টির ধারা। অবিন রাধাচূড়া কে জড়িয়ে
ভিজছে। একা একা।
-----নির্মল হালদার
----১০--৬---২০২১
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন