রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১

কবিতা





২৩.
ডুমুর না পাকলেও বটফল পেকেছে


কামরাঙার রঙ সবুজ আছে না হলুদ হলো?

আম কী দেখা যাচ্ছে কোথাও?

যে ফল যেদিকেই থাকুক বট ফলের রঙে
আমার বিনোদন। বটফলের বীজেও পাবো
পাতপালা জড়ো করা গ্রাম।

ঘাম ঝরছে গাঁইতি--কোদাল থেকে।


২৪.
আমার করতলে আমলকী

কি চাইবো কার কাছে আর!কিইবা চেয়েছি সূর্যোদয়ের কাছে!
চারদিকেই চৈত্রের রঙ রোদের ঝলক,কি চাইবো! একটি তক্ষক
সামনে দাঁড়ালে,কি চাইতে পারি কতটুকু!

কাক দিয়ে গেছে চঞ্চলতা। মেঘের অস্থির মন আমার কাছে।
আমার করতলে আমলকী

নিসর্গে নিঃস্বতা নেই।



----১৩ চৈত্র ১৪২৭
----২৮----৩----২০২১
-----নির্মল হালদার




শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১

গণতান্ত্রিক অধিকার / নির্মল হালদার

অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের অধিকার নাইবা থাকুক। ভোট দেওয়ার অধিকার আমার আছে। আমাকে যেতেই হবে ভোটের লাইনে। আমাকে দিতেই হবে ভোট। ভোট, আমার গণতান্ত্রিক অধিকার।

              একটা সময় ছিল যখন কোনো ভোট আমি দিইনি। এই কারণে, আমি চিহ্নিত হয়ে গেছিলাম। এবং ভোটের দিন আমার কাছে সবাই জানতে চাইতো, কৌতূহলের সঙ্গে জানতে চাইতো, আমি ভোট দিয়েছি কিনা। যদি বলতাম দিয়েছি তাহলে, দেখতে চায়তো আমার কলঙ্কিত আঙ্গুল। আমি হেসে উঠলাম।

            তখন পছন্দের বাইরে কোনো বোতাম ছিল না। আমি কি করে যাই ভোট দিতে। আমার নৈতিকতার বাইরে কি করে যাই, ভোটের লাইনে!

           কেন না, ভোট একটি প্রহসন। ভোট, মানুষকে ঠকানোর এক কৌশল। ভোট, মানুষকে বোকা বানানোর এক ষড়যন্ত্র।

            নেতা-মন্ত্রীরা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার করে থাকেন, প্রচার করছেন, আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। জনগণের কাছে আবেদন করছেন, আপনার ভোট আপনার অধিকার।

             আমার বেঁচে থাকাও আমার অধিকার। আমার শিক্ষা আমার অধিকার। আমার স্বাস্থ্য আমার অধিকার।আমার অন্নবস্ত্র আমার অধিকার। বাসস্থান আমার অধিকার। কোন্ অধিকার আমি পেয়েছি?

              গতকাল বুড়ি সবজিওয়ালির কাছে জানতে চাইছিলাম, মাসি ভোট দিবে তো? মাসি বললো,

আগে পেট। পেট ভরানোর জন্য বাজারে আসবো সবজি বিকতে, তার পরে সময় পেলে, ভোট দিতে যাব। এই বুড়ি সবজিওয়ালির কথা নেতা-মন্ত্রীরা কী শুনতে পান? এক রিকশাওয়ালাকে বলছিলাম, ভোট দিতে যাবে নাকি? সে বললো, যদি রিকশা টেনে চাল নুনের দাম টা বের করতে পারি, তবেই ভোট দিতে যাব-------।

             আমার চা ওয়ালা, যার কাছে প্রতিদিন চা খেয়ে থাকি সকালে, সে বললো, বেলা বারোটার পর দোকান বন্ধ করবো, তা বাদে যদি মন করি, ভোট দিতে যাব।

             এইসব ছবির দিকে আমাদের নেতা মন্ত্রীরা এবং রাজনৈতিক দলগুলি কী তাকিয়েছে ভুল করে?

              আমরা বরং ভুল করে তাকিয়ে দেখতে পাই, চৈত্রের পলাশ। আগুন রাঙা পলাশ। যেনবা প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হয়ে বলছে, আর নয় এবার দূর হটো------দূর হটো ------- আমরা ধরে ফেলেছি রাজনৈতিক দলের কারচুপি। আমরা আগে চাই, আমাদের বাঁচার অধিকার।

              ফুটপাতে শুয়ে থাকা মা ও শিশুর মুখে যে মাছিরা বসছে, আগে তাড়াতে চাই। তাদের জন্য ব্যবস্থা করতে চাই, যে ব্যবস্থা থেকে তৈরি হবে মাথার আচ্ছাদন। যে ব্যবস্থা থেকে, দু'মুঠো আসবে।

             ভোট নয়। জোট নয়। খুনোখুনি নয়। হাসি চাই।মানুষের মুখের হাসিতে এই পৃথিবী খুঁজে পাবে তার সৌন্দর্য।

             পৃথিবীর মধ্যে ভারতবর্ষ বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। তার যথাযথ অর্থ করতে হলে, মানুষকে বাঁচার অধিকার কথা বলার অধিকার দিতে হবে।


নির্মল হালদার

২৭/৩/২০২১


প্রধান উদ্দেশ্য


সহায়তা বা অনুরোধের জন্য



কবিতা

১৯.

সূর্য নেই


একটার পর একটা রাত আসে


একটার পর একটা চাঁদ আসে


সকল রাতেই চাঁদ

চন্দনের গন্ধ ছড়ায়


সকল রাতেই আমার মায়াবী জাগরণ।



২০.

হাঁসের সঙ্গে থাকতে থাকতে

হাঁসের একটা গুণ পেয়েছি, জল বাদ দিয়ে দুধটা খাই। আসল নকলের তফাৎ ধরতে পারি বলেই,

খড়িগোলা দুধ রয়ে গেছে অন্যদিকে।


শুধু বীণাবাদিনীর পায়ের তলায় ধ্যান করতে পারি না।


ঘুমিয়ে যাই।



২১.

ফলের রূপ রস গন্ধ কাঠ পোকাও চেনে


এক ডাল থেকে আরেক ডালে পৌঁছেও

ফলের কাছে যেতে পারে না


ফলটি দুলে দুলে উঠছে।


কাল রাতেও একটি তারা

চাঁদের কাছে যেতে পারেনি বলে,

ঝরে গেছে আমার দুহাতে


তারার ভিতর আরেকটি তারাও নেই।



২২

পাখি শুধু পাখি নয় একটি উড়াল

আকাশকে ছুঁতে গিয়ে ফিরে আসে মাটিতে।

মাটির যা রূপ নিকটে থাকতে হয়,

ভালবাসতে হয়।


আকাশের সঙ্গে দূরত্বের প্রেম


দূরত্বই প্রেম।



----১৩ চৈত্র ১৪২৭

----২৭---৩---২০২১

-----নির্মল হালদার


প্রধান উদ্দেশ্য


সহায়তা বা অনুরোধের জন্য


বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১

কবিতা


১৫.

কেঁচোরা মাটি তুলছে

আর আমি
শালিকের ঠোঁট থেকে ধার করি হলুদ
টিয়ার ঠোঁট থেকে ধার করি লাল

হলুদ ও লালে মেশাই আমার অভিসার



১৬.

পায়রা উড়ে যেতেই হাওয়া

রূপের হাওয়া আলোর হাওয়া
সুন্দরী হাওয়া আমার গায়ে লাগলো।
আজ কী শুরু হবে আমার প্রেম?
আমার পরশ?

আজ কী শুরু হবে আত্মীয়তার স্বাদ?

আমার নতুন আহ্লাদ?



১৭.

কাকের বাসায় কোকিল ডিম পাড়লেও
কাক কখনোই কোকিল নয়। কোকিল যে বাঁধতে পারেনা বাসা এই মর্মবেদনায়
কোকিলের বাসা বাঁধবো আমি।

এইতো খড়কুটো খুঁজতে চলেছি।



১৮.

যেদিন প্রথম সূর্য
সেদিন প্রাণের আকুলতায় কাঁপছিল ঘাস, ঘাসের বীজ।
অস্থিরও লাগছিল, কখন ধারণ করবে আরো আলো।

প্রশ্ন ছিল বীজের, আলোর পরে কী?

আকাশ থেকে গড়িয়ে পড়ে ছিল এক বিন্দু শিশির।



----১১ চৈত্র ১৪২৭
----২৫---৩---২০২১
-----নির্মল হালদার








সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১

বসন্ত উৎসব

১.
একটা গাছ না লাগিয়েও
বসন্ত বসন্ত বলে উল্লাস করি
পলাশের নিচে দাঁড়াই
মহুলের গন্ধ মাখি

একটা গাছ না লাগিয়েও
পলাশের মধু খুঁটে খাই
কুসুমের কচি পাতায় রাখি
আমার পুরনো হৃদয়

নিজেকে জুড়ে দিই দখিনা বাতাসে

একটা গাছ না লাগিয়েও
নিজেকে রাঙাই শালে--শিমুলে
আর রক্ত দিতে ভুলে যাই
গাছের শিরায়

শিরা-উপশিরায়।


২.
হনুমানের লেজে নিজেকে বেঁধে
লাফিয়ে বেড়াই। কখনো কখনো
হনুমানের কোলে শিশু হয়েও
টপকে যাই উঁচু নিচু রাস্তা। দেখতে পাই,
প্রথম সূর্য।

এত আলো এত তেজ সইতে পারিনা বলে,
সূর্যকে বগলে লুকাই।



-----৮ চৈত্র ১৪২৭
-----২২---৩----২০২১
-----নির্মল হালদার







শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১

কবিতা

১৩.

আমিও ছিলাম মাটির গভীরে

অনেকেই ছিল আরও
যে যার মত প্রাণ নিয়ে খেলা করছে
রৌদ্র ছায়ায়

আমি মনুষ্য বীজ হয়ে রক্তমাখা পুতুলি হয়ে
নিজের নাড়ি-নক্ষত্র চিনতে চাইছি।


১৪.

ধুলো কি শুধু আমার গায়ে লাগে!
তারাদের গায়েও লাগে একটু একটু করে।
ধূসর হয়ে পড়ে আলোর কিরণ।

তরুণরা গেছে অরন্যের আবর্জনা সাফ করতে

নক্ষত্রের দেশ যাবে না?

আমাকে সঙ্গে নিলে আমি দেবো ফুঁ
তারার মুখ থেকে উড়ে যাবে ধুলো।



-----৬ চৈত্র ১৪২৭
------২০---৩---২০২১
-----নির্মল হালদার








বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১

কবিতা

 ১১.

জলে জলে ওড়ে মাছ

জলে জলে ওড়ে জল

মাছের পাখায় জলের ভুবন


মাছের পিছনে মাছ উড়ছে


মাছের পিছনে মাছের চোখ


অনিমেষ আঁখি।



১২.

লাফিয়ে ওঠা মেষশাবকের মাঠ

যেটুকু আছে থাক। হারিয়ে গেলে

মেষশাবকের লোমের উষ্ণতা

খুঁজে পাবোনা।


অসীম উষ্ণতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে

যদি সীমাকেই আঁকড়ে ধরি,

মেষশাবককে কাঁধে উঠিয়ে,

আকাশের দিকে হেঁটে যাবো।


আকাশ ও এক মাঠ।


------৩ চৈত্র ১৪২৭

-----১৭----৩----২০২১

----নির্মল হালদার



প্রধান উদ্দেশ্য


সহায়তা বা অনুরোধের জন্য

মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১

কবিতা

৯.
পাখা ঝাপটাতেই ছাই উড়লো

আমার সারা গায়ে ছাই।

আমি ছাই তিন সত্যি।
আজ সকালে আমাকে জানালো
রঙিন মুরগি।

আমি শাদাকালো।

আমিও ছাইয়ের গাদায় খুঁজবো
আমার আঙরা--আগুন, যদি আমার
নতুন খিদে পায়

মাথায় ধরে রাখবো।



১০.
নিজের শিঙে মাটি খোঁড়ো

গরুও খুঁজছে বীজ।

কোথায় যে বীজ শুধু অন্ধকার
অন্ধকারের চলাফেরা

পিপাসা জাগছে।

আমার শিঙে মাটি খুঁড়ি
জল দেখাতে পারলে, আমি শুয়ে পড়বো
গরুর পেটের ছায়ায়।



----১ চৈত্র ১৪২৭
----১৫----৩-----২০২১
-----নির্মল হালদার








শুক্রবার, ১২ মার্চ, ২০২১

কবিতা

৭.

উড়তে যাবে যেই

বকের পায়ে লটকে গেছি।

কোথায় যাবে কতদূর?


পা থেকে খসে পড়লে?


আমি কি শেয়ালের গর্তে পড়বো?

আমায় কি ধরবে হাতির শুঁড়?

ফণীমনসার ঝোপে পড়লে

আমি ক্ষতবিক্ষত


আমি ক্ষয়ের সৌন্দর্য।



৮.

পেঁচা আসবে রাত্রিও আসবে


রাত্রি শুধু অন্ধকার নয়

রাত্রি পেঁচার চোখ


আমাকে দেখাবে জঙ্গলের পথ

অথবা বিরহ। বেদনার সঙ্গে পড়ে থাকে

শুকনো পাতার সঙ্গে। পাতারা হলুদ হলেও

আমাকে জানায়, পেঁচার পায়ের তলায়

গাছের জ্যান্ত ডাল


আমিও আঁকড়ে ধরতে পারি।




----২৭ ফাগুন ১৪২৭

----১২---৩---২০২১

-----নির্মল হালদার




প্রধান উদ্দেশ্য


সহায়তা বা অনুরোধের জন্য


বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১

কবিতা

৫.
ঝুড়ি ঝুড়ি মেঘ জড়ো করছে ব্যাঙ
বৃষ্টি এলেই বৃষ্টির আনন্দ।


বৃষ্টির সঙ্গে গত জন্মেও বন্ধুত্ব ছিল
এ জন্মেও বৃষ্টির গভীরতা।

বৃষ্টি আমার চেয়ে বড়
পাশে দাঁড়ালে আমি ক্ষুদ্র।

আমি চুপিচুপি ছুটে যাই
ব্যাঙের ছাতার নিচে।



৬.
পেখম মেলতেই ময়ূরী আকাশ

অজস্র চোখ জ্বলছে।

কার চোখ দিয়ে কি দেখবো,
কার হৃদয় দিয়ে কি ঘ্রাণ চাইছি,
ময়ূর জানতে পেরেই আমাকে বলে,
প্রেমের খিদে নাও------

সাপও জড়িয়ে থাকবে গলায়।



----২৬ ফাগুন ১৪২৭
----১১---৩----২০২১
-----নির্মল হালদার







বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১

কবিতা

৩.

কাঠবিড়ালির সামনের দু পায়ে ধরা আছে একটি ফল।

যা রঙ যা গন্ধ ছুঁতে চাইছে বাতাস।

আমিও লোভ করি। আস্তে আস্তে প্রবেশ করি

ফলের ভেতরে।


একটি ফল একটি বিশ্ব অথচ নুন নেই।


আমি ছিটকে উঠি। বাইরে এসে দাঁড়াই, চোখের জলের দাগে।



৪.

ডাঙ্গায় উঠেছিল

পিঠ থেকে রোদ নামতেই

কুমির চলে গেল জলে।


কুমিরের হিংস্রতায়

রোদ ধারালো হয়নি।

রোদ ছিল রোদের মতোই নরম,

খরগোশের মতো তুলতুলে,


আমি কোলে নিয়েছি।



---২৫ ফাগুন ১৪২৭

----১০--৩--২০২১

----নির্মল হালদার



প্রধান উদ্দেশ্য


সহায়তা বা অনুরোধের জন্য

নির্মল হালদারের ছবি

 

নির্মল হালদারের পোর্ট্রেট
কল্পোত্তমের সঙ্গে আলাপচারিতায় কবি নির্মল হালদার
দোলনায় দূলছেন কবি নির্মল হালদার
মানবাজারের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে বন্ধুদের সঙ্গে কবি নির্মল হালদার
মানবাজারের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে বন্ধুদের সঙ্গে কবি নির্মল হালদার



প্রধান উদ্দেশ্য


সহায়তা বা অনুরোধের জন্য

মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১

কবিতা

১.

পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে মধুতে পড়ে যায়।

পায়ে লেগে থাকা মধুর দিকে

চেয়ে থাকে মৌমাছি।


পৃথিবীর পায়ে কী মৌচাক বাঁধবে?


মৌমাছি আমার সম্পর্কে আত্মীয়

মৌমাছি আমার আহ্লাদ।

আমিও ঘুরতে ঘুরতে মধুতেই মরবো।


মধুভাণ্ড ব্রহ্মাণ্ড।


২.

পিপড়ের প্রসব যন্ত্রণা

বাতাস থেকে বাতাসে উঠছে, ধীরে ধীরে


পিঁপড়ের বাসা কোথায়? আলো কি জ্বলে?


গাছ তলে পড়ে থাকা যন্ত্রণা

গাছ কি শোনে?


মাটিতে শিশিরের শিহরণ

পিঁপড়ে ডিম পাড়লেই, স্নান করাবে


অনন্তকালের স্নান।


----২৪ ফাগুন১৪২৭

----৯---৩---২০২১

----নির্মল হালদার



প্রধান উদ্দেশ্য


সহায়তা বা অনুরোধের জন্য



সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১

ফড়িঙ উড়ছে

১.

মেঘ ছুঁতে চাইছে ফড়িঙের ডানা

মেঘ উড়ছে আঁশটে গন্ধ ছড়িয়ে

মেঘ যে ডুবে ছিল নদীতে

মাছের সঙ্গে।


মাছ ও উড়বে নাকি?

ভালোবাসবে নাকি আমাকে?

পঞ্চমুখী জবার পাঁচ কথা শুনতে শুনতে চলে এসেছি

আকন্দের কাছে


আকন্দের দুধ নিরাময় করে।


২:

রেণু উড়িয়ে জবা স্তব্ধ হয়ে থাকে


জ্বলতে থাকে স্তব্ধতার রঙ


জবার রঙ আমাকে হিংস্র করেনা,

আমাকে শান্ত করে।নীরব করে আর

নিঃস্বতার কথা বলে


আমি দু'হাত পেতে নিঃস্ব হতে চাই।


----২৩ ফাগুন ১৪২৭

-----২৩----৩----২০২১

-----নির্মল হালদার



প্রধান উদ্দেশ্য


সহায়তা বা অনুরোধের জন্য

কবি নির্মল হালদারের বিভিন্ন সময়ের ছবি

পড়ুন "ঘর গেরস্থের শিল্প"

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ