রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২

কাব্যকে লেখা পত্র




অপরাজিতার আকাশে-----৩
------------------------------------------

কাব্য
আজ মনে হচ্ছে, প্রতিদিন ভালোবাসাও শিখতে হয়। যেমন
এই শরতে আকাশের কাছেও
পাঠ নিয়ে থাকি, ভালোবাসাকে
কী করে বড় করতে হয়।

তোর কাছেও শিখতে হবে , কেমন করে ফোটাবো রামধনুর সাত রঙ।
মাঠে মাঠে শিশির না পেলে, তোর কাছে চাইবো চোখের জল।

তোর চোখের জলে সূর্যের কণা।

তোর চোখের জলে আনন্দ রশ্মি।

আমি চুপি চুপি দেখেছি।

ভালোবাসার কাছে শব্দ করতে নেই। ভালোবাসা পছন্দ করে নীরবতা।

তুই তো দেখেছিস, আম জাম
গাছে গাছে নীরব থেকে প্রেম ভালবাসা জানিয়ে থাকে।

আমার কান্না কখনো কখনো শব্দ করে খুব বেশি, এ কারণেই হয়তো
ভালোবাসা জুটলো না আজও।

ইতি----
৩০ ভাদ্র ১৪২৯
১৬---৯---২০২২
শুক্রবার
বেলা--১২--১০
নির্মল হালদার





 
গোধূলির দিকে। গোধূলি মায়ার দিকে----৫
-------------------------------------------------------------

কাব্য
তোর ঘরের জানালা থেকে
অনেকগুলো গাছ দেখা যাচ্ছে।
তারা নিশ্চয়ই তোর বন্ধু।

বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলিস তো সময়ে-অসময়ে? ওরাই তো প্রকৃত বন্ধু। তোর কাছে কোনো প্রত্যাশা না করে তোকে ভালোবেসে যাবে।

আলো ও আঁধারে।

ল্যাপটপের বোতামে আঙুল থাকে
তোর। আমি চাইছি, গাছের গায়ে গায়ে তোর আঙুলের স্পর্শ থাকুক।

দুজনেরই জেগে থাকা আমি দেখতে পাবো নিশ্চিত।

তোর জানালার বাইরে যে রাস্তা গুলি চলে গেছে , তাদের সঙ্গে কথা বলবি। পেয়ে যাবি নিশ্চয়ই
নতুন নতুন ঠিকানা।

প্রেমের আধার।

সেই আধারে ধরা থাকবে তোর হৃদয়।

তোর হৃদয়ের রঙে বীরভূমের মাটি আরো লাল হয়ে উঠবে।
প্রতিদিন ‌

ইতি---
৩০ ভাদ্র ১৪২৯
১৬---৯---২০২২
শুক্রবার
বিকেল--৫--৪১
নির্মল হালদার





ভাদ্র শেষ হয়ে গেল---৬
----------------------------

কাব্য
প্রেমের শেষ নেই। চন্দ্র সূর্যের মতো অন্তরে অন্তরে জ্বলতে থাকে।

ভালোবাসতে থাকে কখনো কাঠবিড়ালির মত। কখনো
কাকের মত। কখনো বা শালিক
চড়ুইয়ের মত।

টিয়া পাখির ঠোঁটের রঙেও
আমরা আমাদের প্রেম প্রতিষ্ঠিত করি। আমরা তাল খেজুরের গলায় বাঁধি হাঁড়ি।

প্রেম চাই।

প্রেম চাই বলেও প্রশ্ন জাগে,
আমাদের সমাজ-বাস্তবতায়
প্রেম আছে তো?

মানুষেরই অত্যাচারে প্রকৃতি ধ্বংস হতে হতে ফুরিয়ে এলো। প্রযুক্তির
পীড়নে পাখিরাও ক্রমশ শেষ। নদী পাহাড় জঙ্গল ও শেষের মুখে।

সেদিন তোদের বাড়িতে অনেক গাছপালা দেখে খুশিতে ভরে উঠেছে সবাই।

এরকম একটা বাড়ি তে শান্তির হাওয়া বইতে থাকে।

তুই নিজেও তো শান্ত এক ছেলে।
যে রাজার চিঠির অপেক্ষা না করে অসংখ্য চিঠি লিখে রাখে
তার মুখের অভিব্যক্তিতে।

তোর চোখের তলার লুকানো বিষাদে আমি কবিতা লিখতে চাই।

লিখতে দিবি তো?

ইতি---
৩১ ভাদ্র ১৪২৯
১৭---৯---২০২২
শনিবার
বেলা--১০--৩৩
নির্মল হালদার





আশ্বিনে বৃষ্টির শব্দ---১২
-----------------------------------

কাব্য
দ্বিপ্রাহরিক আহার হয়েছে নিশ্চয়ই। কম্পিউটার তো
মায়ের মত ভাত ডাল করতে পারবে না।
তোর চোখ মুখ শুকনো দেখালেও বলবে না-- কীরে আজ কী হয়েছে?

কী হয়েছে আমাকেও বলবি না তুই। শাদা শঙ্খর মত হেসে বলবি,
কই কিছু নাতো!

আমি চারদিকে হাৎড়ে বেড়াবো,
কোথায় তোর মন? কোথায় আহার?

আহ্লাদ আছে কি তোর? নিজের জন্য বিনোদন?
প্রেম-ভালোবাসা করেও বিনোদন করা যায়, আমার এ কথা মানবি তো তুই?

কাকে ভালবাসিস?

ভালোবাসার জন্য কাতর হয়ে আছে ছোট বড় পাথর। কাদামাটি। গুল্মলতা। আগাছাও।

আমিও আগাছা এই সমাজে।
জল দেবেনা কেউ।

তোর কাছে জল পাবার আশায়
তোর কাছেই পায়ের শব্দ করছি।

ইতি--
৩ আশ্বিন ১৪২৯
২০--৯--২০২২
মঙ্গলবার
বেলা--৩--১৩
নির্মল হালদার








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কবি নির্মল হালদারের বিভিন্ন সময়ের ছবি

পড়ুন "ঘর গেরস্থের শিল্প"

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ