মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২

জগৎ পারাবারের তীরে শিশুরা করে খেলা।



জগৎ পারাবারের তীরে শিশুরা করে খেলা।
-----------------------------------------------------

শিশুটি কার?

যদি বলি আমার?

শিশুটি কার?

যদি বলি তাহার?

ওই সবুজ মাঠ কার?

যদি বলি আমার?

ওই সবুজ মাঠ কার?

যদি বলি তাহার?

আমি ডেকে উঠছি-------
আয় সোনা আয়----
শিশুটি শুনবে?

ওই পাহাড় ডেকে উঠছে-----
আয় সোনা আয়-----
শিশুটি শুনবে?

শিশুটির মা কে? বাবা কে?
শিশুটির ঘর কোথায়?

শিশুটির কাছে কে পাঠালো খেলা?
শিশুটিকে কোলে নিতে গেলে
কোলে উঠবে তো?

চারপাশে কেউ নেই। শুধু সবুজে সবুজ মাঠ। ওই দূরে পাহাড়ের রেখা। যেন চন্দ্র সূর্য একই সঙ্গে মাঠ থেকে মাঠ। আলোর খেলা।

না, শিশুটির কাছে যাব না।
সে দিগন্তের কাছে যাবে। সে দিগন্তকে ছুঁয়ে আবার মাঠে এসে দুরন্ত এক প্রাণ।

না, শিশুটিকে কোলে নিতেও যাব না। কোলে উঠলে সে যদি
হাত পা ছুঁড়তে না পারে?

শিশুটি হাত ছুঁড়লে পা ছুঁড়লে
আকাশ নেমে আসে শিশুর কাছে। খেলাও করে। পাখিরা নেমে আসে শিশুর কাছে।

একসঙ্গে সবাই ঘাস বীজ খোঁজে।

বীজের ভেতরে অজস্র দুধ।

একসঙ্গে সবাই দুধ নিয়ে হুটোপুটি করবে।

কোনো পাখি চাইবে শিশুটিকে পিঠে তুলে উড়ে বেড়াবে শুধু। আর শিশুটি চাইবে পাখিকে পিঠে নিয়ে সারা মাঠ ঘুরে বেড়াবে।

শিশুটি কার?

শিশু যদি অনন্তের হয়?

অনন্ত কে?

অনন্ত মানুষ হলে কেমন মানুষ?
সেই কি দিগন্তের শেষ?

শিশুটির কাছে রোদ নেই জল নেই শুধু সবুজের মায়া। এবং শিশুটি একা।

শিশু একা হয়?

একটি শিশুই তো অজস্র শিশু।
একটি শিশুই তো অজস্র খুশি।
একটি শিশুই তো প্রজাপতি
ফড়িং।

শিশু কারোর সম্পত্তি নয়। শিশু সকলের।

নিজ মনে নিজের আনন্দে উড়ছে। ওড়াউড়ির রঙে রঙে
একটা কাক এসে জুটলে কাকের মনের রঙ  বিচিত্র রঙে সেজে ওঠে।

ওই শিশুটি আমি নই তো?

ঘর ছেড়ে দুয়ার ছেড়ে চলে এসেছি মাঠে। দাপাদাপি করছি। ছুটে বেড়াচ্ছি।
আমার খিদে নেই তৃষ্ণা নেই কেবল মাঠ থেকে মাঠ।

আষাঢ়ের বৃষ্টিতে সবুজ হয়ে যাওয়া মাঠে এই শ্রাবণে ধান রুইবে।

আমার মন রুইবে আরো মন।

মন কি ওই শিশুটি?

শিশুই তো পালক কিম্বা পালিকা।

শিশুই তো আমার দেশ।


------২ শ্রাবণ ১৪২৯
-------১৯----৭----২০২২
-------নির্মল হালদার









ছবি : অভিজিৎ মাজী















কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কবি নির্মল হালদারের বিভিন্ন সময়ের ছবি

পড়ুন "ঘর গেরস্থের শিল্প"

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ