যে বীজ বিশ্বসংসার
------------------------
একটি পাখি চেয়ে আছে আরেকটি পাখির দিকে।
একটি গাছ চেয়ে আছে আরেকটি গাছের দিকে।
শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
আষাঢ়ের দিন।
এই আষাঢ়কে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। এই আষাঢ় বৃষ্টির।
এই বৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।
বৃষ্টির সঙ্গে বীজের সম্পর্ক আছে।
সম্পর্ক মাটির সঙ্গে আকাশের।
সম্পর্ক বীজের সঙ্গে বিশ্বের।
বীজ থেকেই বিশ্ব।
বিশ্ব থেকেই বীজ।
বীজ থেকেই বিশ্বের বিকাশ।
বীজ বপন করে মানুষ। মানুষও হয়ে ওঠে বীজ।
যে বীজ বিশ্বসংসার। যে বীজ বিশ্বসংসারের আধার।
পাহাড়তলীর গ্রাম।
গ্রামের মানুষ বীজ বা চারা ফেলছে আগামীর জন্য। আগামী প্রজন্ম ফসলের আলোছায়ায় সুন্দর হয়ে উঠবে।
"সুন্দর" এই বীজ-বিশ্ব । সুন্দরকে লালন করে।
আমাকেও লালন করে। আমিও বীজের আধারে এক প্রাণ।
পাহাড়তলীর গ্রাম একটি প্রাণ।
প্রাণের মত বৃষ্টি এসেছে।
এই বৃষ্টিকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। এই বৃষ্টি বীজ নিয়ে এসেছে। প্রেম নিয়ে এসেছে। মিলন নিয়ে এসেছে।
এই বৃষ্টিকে ধরে ধরে বীজের কাছে যাওয়া।
বীজ বিপুল আনন্দ। বীজ আনন্দের উৎস। বীজ আলোর
কাছে যাওয়া।
প্রাণের কাছে যাওয়া।
প্রাণ --------পাহাড়তলীর গ্রাম।
আমার কুটুম আছে।
আমাকে যেতেই হবে। লাউপাতায় গুড় পিঠে বেঁধে আমি যাব কুটমালি করতে।
কুটুমের ছেলে মেয়েরা হইহই করে আমার কাছে চাইবে----
কাঠি লজেন্স। বিস্কুট। খেলনা পুতুল।
কুটুমের গ্রামে মেঘ ডাকবে। বৃষ্টি এসে আমাকে জড়াবে উষ্ণতায়।
রাত্রি এসেই ঘুম পাড়াবে ।
পাহাড়তলীর গ্রাম ঘুমিয়ে পড়লেও বীজ ঘুমোবে না।
---------৬ আষাঢ় ১৪২৯
--------২১----৬----২০২২
--------নির্মল হালদার
ছবি : অভিজিৎ মাজী










কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন