একাকী সৌন্দর্য
--------------------
হাতিরা জল খেতে আসে।
পাখিরা জল খুঁটে যায় প্রতিদিন।
নদীতে। ঝর্নায়।
রঞ্জিনী কি আসে ?
রঞ্জিনীর প্রেম কোন্ দিকে যায়?
নদীতে ঝর্ণায় যে বহমানতা
তার সঙ্গেই কি রঞ্জিনী?
রঞ্জিনীকে প্রেমের প্রস্তাব কে দিয়েছে? বাতাস যদি দিয়ে থাকে তবে জলও দিয়ে থাকবে?
জল-----জল?
সাড়া নেই শব্দ নেই। নীরবতার কাছেই আমি আবার ডাক পাঠাই--------জল জল।
জল আমার বন্ধু ।
রঞ্জিনী আমার বন্ধু না হলেও রঞ্জিনী আমার প্রিয়।
সেও নদীর কাছে যায়। ঝর্ণার কাছে যায়।
রঞ্জিনীর ছায়া আমার গায়ে পড়ে।
নদীর কাছে এসেছিল হরিণের দল। তখন রঞ্জিনী পূর্ণিমা হয়ে হরিণদের বন্ধুনী হয়েছিল।
রঞ্জিনী কবিতায় থাকে। সে একবার একা একা এক জঙ্গলে "হোস্টেল থেকে লেখা কবিতা" পাঠ করেছিল।
তখন চরাচর জুড়ে স্তব্ধতা।
আমার বন্ধুদের জানলা খোলা ছিল। যেন রঞ্জিনীর কবিতা পাঠের কণ্ঠস্বর প্রবেশ করতে পারে।
রঞ্জিনী কারো কাছে যায় না।
সে একাকী সৌন্দর্য।
ঝর্ণার মত জন্ম তার। নদীর মত জন্ম তার। সে সকলের প্রেমিকা। অথচ প্রেমিকা নয়।
সে একাকী আলো।
সে তার পথের শব্দ শোনায় না।
কেন না, পথ নীরব। রঞ্জিনীর রূপ নীরব।
নীরবতার কাছে যেতে সবার সাহসে কুলোয় না। সাহস কেবল নদীর। ঝর্ণার।
সাহস কেবল রঞ্জিনীর। সেই তো ফুটিয়েছে রক্তকরবী।
রক্ত করবীও এক মহা জীবনের নাম। তাকে কে ভালবাসে কেউ জানে না।
রঞ্জিনী রঞ্জিনী
কার তৃষ্ণার কাছে দাঁড়াবে তুমি?
------৩১ -আষাঢ় ১৪২৯
------১৬----৭-----২০২২
------নির্মল হালদার
ছবি : অভিজিৎ মাজী













কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন