এই নামে একটি কবিতার বই।
আমার বুক কেঁপে উঠেছে।
কার শব? কাদের শব?
সন্দীপ কি দেখতে পায়না
ঘাসের আগায় শিশিরের রেখা?
শিশুর হাসি? শালুক ফুলের গৌরব? আকাশের অসীমতা?
সন্দীপ কি বলতে চেয়েছে
এখানে শব যাত্রা এই দেশের?
সময়ের?
ব্যঙ্গ বিদ্রুপ নাকি সন্দীপের মত
একজন সৃজনশীলের দুঃখ বেদনা?
এই বইয়ের প্রতিটি কবিতায় ছুরির মতো ধারালো ব্যঙ্গ। পড়তে পড়তে দেখতে পেয়েছি এই সময়ের অনৈতিকতা, আদর্শহীনতা এবং মানুষের অসহায়তা।
সন্দীপের পরিচিতি ফটোগ্রাফার হিসেবেই। সে যে কবিও, অধিকাংশ মানুষ জানেনা। সে
অবশ্য নিঃশব্দ। তার কবি সত্ত্বাকে
লুকিয়ে রাখতে ভালবাসে।
লুকিয়ে লুকিয়ে সে হাসেও। লুকিয়ে লুকিয়ে সে ব্যথা-বেদনায়
গুমরে গুমরে চিৎকার করে।
নীরব।
ফটোগ্রাফির মতই সে ছাঁচ ভাঙ্গা
কবিতা লেখে। গীতিকবিতার মূর্ছনা থেকে অনেক দূরে তার
সৃষ্টিকর্ম।
কবিতা রচনা ।
সে ফটোগ্রাফির শাদাকালো রহস্যময়তা থেকে দূরে গিয়ে লেখালেখি করে। যা স্পষ্ট ও সহজ। অথচ গভীর।
কবি--পাঠক ও পাঠকদের কাছে
অনুরোধ করি, সন্দীপের কবিতার বইগুলো সংগ্রহ করুন। পড়তে পড়তে মাথার চুল ছিঁড়তে থাকবেন। নিশ্চিত।
সে সর্বদা ধারাবাহিক স্রোতের বাইরে।আপনাকে রাগিয়ে দিতে দিতে বলবে--------
গভীর প্রেমে কোনো পাপ থাকে না।
গাছ তাই ডাকছে আমায়, আয় আয় আয় আয় আয়।
-----------------------------------
শোভাযাত্রা শেষ
শব যাত্রা শুরু
সন্দীপ কুমার
ছোঁয়া।
-------------------
-------২১ বৈশাখ ১৪২৯
-------৫-----৫-----২০২২
------নির্মল হালদার
-----------------------------------------------------------------
১: অজ্ঞাত এক আলোকচিত্রীর আত্মজীবনী।
২: টানা দাগ।
৩: অন্তরঙ্গ।
৪: কবিতা হলে এভাবেই লিখব।
আরও পড়ুন

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন