আসুন, আলাপ করবেন ফণীমনসার সঙ্গে
----------------------------------------------------
শাল শিমুলের সঙ্গে তো আলাপ আছে। আসুন, ফণীমনসার সঙ্গে আলাপ করবেন।
বুয়ান গাছের সঙ্গেও তো আলাপ নেই আপনাদের। আচ্ছা----আলাপ হয়ে যাবে।
আপাতত চলুন ফণীমনসার কাছে।
আমাদের এই রুক্ষ কাঁকুরে মাটির দেশেই জন্মে থাকে ফণীমনসা।
কে যে কবে বীজ ফেলে দিয়ে গেছে, কোথাও কোনো তথ্য পাইনি। আড়ালে কার হাত আমার জানা নেই।
এই ফণীমনসাকে অনেকে বুনো গাছ বলে। চেহারাও বুনো বুনো। গায়ে অসংখ্য কাঁটা । লম্বা লম্বা।
এই গাছেরই মাথায় ফুটে থাকে একটি হলুদ ফুল। তার আলোতে চারদিক আমোদিত হয়ে থাকে।
মৌমাছিও গুনগুন করে।
ওদের কাঁটার ভয় নেই।
আসুন আসুন-----একটু পরিত্যক্ত জায়গা হলেও কোনো সাপখোপ নেই। এসে দেখুন, ফণীমনসার
পাতা নেই। ডালটাই সব। এবং ডালটাকে দেখতে সাপের মত।
বোধহয় এই কারণে, আমাদের পূর্বপুরুষরা নামকরণ করে গেছে, ফণীমনসা।
গায়ে কাঁটা থাকলেও ফুল ফোটায়। কার নির্দেশে ফুল ফোটায়? আপনি আমি কেউ বলতে পারবো না।
এই গাছ সম্মানিত হয়ে থাকে
আয়ুর্বেদ জগতে। ফণীমনসা থেকে ঔষধ তৈরি হয়।
তাহলে ধরে নিতে পারি, ফণীমনসার একটা মন আছে। মন থেকেই মনের নিরাময়।
তার জন্মের মাটি কাঁকুরে হলেও তার মন নরম। মনে একটিও নেই কাঁটা।
অগ্রাহ্য করতে পারি না।
আপনারা বোধহয় এই গাছকে ক্যাকটাস জাতীয় গাছ বলবেন।
আমি তো জাতের বিচার করতে পারি না। ঝোপঝাড়েও ছোট ছোট গাছ দেখি। নাম জানি না। তবে সবুজের ইশারা দেখতে পাই। কাছে না গেলেও কখনো কখনো ফুল দেখতে পাই।
রাস্তায় রাস্তায় বেড়ে ওঠা যৌবন রাস্তাতেই থাকে। কাছে যেতে এবং প্রেম করতে আমাদের সাহস নেই।
ফণীমনসার কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে কেউ প্রেমিক হলে সেইতো সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দর।
সুন্দর বা সৌন্দর্য সব সময় মসৃণ হয় না। একটি মেয়ের গালে একটি আঁচিল থাকলেও সে সুন্দরী।
আমার মনে হয়, মেয়েরা সব সময় সুন্দরী বলেই, একটি গৃহকোণ পুরুষের ঠাঁই।
সৌন্দর্য বা সুন্দরতা মনেই থাকে।
মেয়েদের মন আছে। আর তাই তাদের হাতের এক গেলাস জলে অনন্তকালের তৃষ্ণা মিটে যায়।
ফণীমনসার মন তাই নিরাময়ের ঠিকানা।
আপনারা এই ঠিকানা দেখছেন।
এবার কাছে আসুন। বারবার আসুন। আপনাকেও বলবে-----
ভালোবাসি ভালোবাসি--------
-------১ আষাঢ় ১৪২৯
------১৬----৬----২০২২
------নির্মল হালদার
ছবি : বাপি কর্মকার







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন