রঙের হাসি
----------------------
আশীষের সঙ্গে দেখা হলেই রঙ্গ রসিকতা।হাসির হররা। এবং সে হাসি ----রঙের হাসি। সে যে
রঙ--তুলির একজন।
চিত্রকর।
কোনো আর্ট কলেজে যায়নি সে।
ছোটবেলায় মাটির পুতুল গড়তে গড়তে রঙ-তুলি।
সে স্বশিক্ষিত শিল্পী হয়ে উঠলো।
সে সুন্দর হয়ে উঠলো। নিজেরই রঙে রেখায়। তাকে সাহসীও বলতে হবে। তার জীবিকাও হয়ে উঠলো আঁকাআঁকি।
পুরুলিয়ার রুখু মাটি থেকে পুরাণের বিষয় আশীষের ছবির কেন্দ্র।তার দক্ষতার পরিচয় পেয়েছি আরো তার আঁকা পোর্ট্রেটে। শাদা--কালো রঙে। এবং শাদা--কালো রঙের মতই
তার লড়াই।
এক শিল্পীর লড়াই।
তার রঙ-তুলি তাকে বাঁচতে সাহায্য করে। তার একটি স্কুল আছে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের
জন্য।
বর্তমানে তার ছেলে আকাশ অবশ্যই সহযোগিতা করে। তার স্ত্রী জয়শ্রীও আশীষের পাশে।
সব সময়।
কলকাতা বাদেও অনেক রাজ্যেই
আশীষ ছবির যৌথ প্রদর্শনীতে যায়। সে জানে শিল্পের পথ
কুসুম ছড়ানো নয়। কাঁটা থাকবেই। পাথর থাকবেই। সে এও জানে, তাকে বাধাবিঘ্ন পার হয়ে যেতে হবে। আকাশ থেকে
মেঘ থেকে বাতাস থেকে মাটি থেকে পাখির কাছ থেকেও রঙ নিয়ে নিয়ে ঋদ্ধ করতে হবে নিজেকে।
সে জানে, তার চিত্রকর্ম নিয়ে পুরুলিয়া থেকে বিশ্বের দরবারে যেতে হবে। সে জানে, তাকে দৃঢ় হতেই হবে।
মানুষের মুখ থেকেও রঙ আসে।
বৈচিত্র্য আসে।
ভালোবাসা আসে।
ছবির পর ছবি।
আশীষের ক্লান্তি নেই।
তার পায়ের শব্দে রঙ-বেরং এর ছবি জড়ো হয়ে তাকে ভরসা জোগায়।
আমরা কাছে থেকে দূরে থেকে কেবল চেয়ে থাকি।
------নির্মল হালদার
------৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯
-----১৯----৫---২০২২
আশীষ নন্দীর চিত্রকলা।
চিত্রশিল্পীর ছবি : অজয় মাহাত
ও
সন্দীপ কুমার













কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন