মানবজমিন
-----------------
এই ছবি যদি কবি সমাজের হয়ে থাকে? বছরে একবার আষাঢ় শ্রাবণে এই ছবি যদি কবিদের জন্য হয়?
বছরের বাকি দিনগুলি কবিরা
যেকোনো কাজ করবে । যেকোনো কায়িক পরিশ্রম। অথবা
দেয়ালে হেলান দিয়ে আলস্য করবে। কিন্তু লেখার চাষ করবে না।
লেখালেখি অর্থে ফসল ফলানোর কাজ। একবার বীজ ফেলবে। একবার রুইবে। তার অনেক আগে মাটিতে লাঙ্গল।
মাটিতে কলম।
বছরে একবার মাত্র।
বাকি দিনগুলি রঙ্গ রসিকতা করেও কাটিয়ে দিতে পারে। অথবা চাষবাস সংক্রান্ত পড়াশোনা।
এখানে পড়াশোনা মানে মাটিকে
পড়তে হবে। জানতে হবে মাটির রূপরেখা। মাটির সঙ্গে জানতে হবে বীজের চরিত্র।
কোন্ বীজ কতটা আলো দেয়, কতটা আবেগ প্রবণ, জানার পরে নামতে হবে কাজে।
কাঁধে হালের ভার ।
কলমের ভার।
বছরে একবার মাত্র।
বীজ রুইতে রুইতে গান।
কবিদের রচিত গান। কবিদের সুর। গান গাইতে গাইতে কাজটা হলে, কাজের পরিশ্রম , পরিশ্রম মনে হবে না।
সমস্তটাই আনন্দের। সমস্তটাই স্বতঃস্ফূর্ত। গা থেকে ঘাম গড়িয়ে পড়ছে মানে আলো গড়িয়ে পড়ছে। গড়িয়ে পড়তে পড়তে মাটিতে।
ফসল ফলবে অনেক গুণ।
একজন কবি তো আসলে একজন কৃষক। বছরে একবার ফসল ফলিয়ে সে নক্ষত্র বিষয়ে
কাজ করবে বছরের অন্যান্য দিনগুলি।
অপেক্ষা করবে আষাঢ় শ্রাবণের জন্য।
আপাতত বলতে চাই, এই শ্রাবণেও পুরুলিয়াতে বৃষ্টি নেই।
চাষীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লেও কবিদের মনে কতদূর চিন্তা?
------৯ শ্রাবণ ১৪২৯
-----২৬----৭----২০২২
------নির্মল হালদার
ছবি : অভিজিৎ ও কল্পোত্তম



















কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন